গোপালগঞ্জ: ঘুর্ণিঝড় ‘আসনি’ আসার আতঙ্কে সবাই যখন নিজ নিজ জমির পাকা ধান কেটে ঘরে তুলছেন, তখন শ্রমিক সংকটে জমির পাকা ধান কাটাতে পারছিলেন না মনিমোহন বাড়ৈ নামে এক কৃষক। ধান কাটার জন্য কোথাও শ্রমিক খুঁজে পাচ্ছিলেন না তিনি।
অ্যাডভোকেট বিজন বিশ্বাস গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার কলাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান।
রোববার (৮ মে) সকালে চেয়ারম্যান তার ইউনিয়নের হিজলবাড়ী গ্রামের মনিমোহন বাড়ৈর এক বিঘা জমির পাকা ধান স্বেচ্ছাশ্রমে কেটে বাড়ি পৌঁছে দেন।
এ খবর পেয়ে কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফেরদৌস ওয়াহিদ ও কৃষি কর্মকর্তা নিটুল রায় শারীরিক প্রতিবন্ধী মনিমোহন বাড়ৈর জমিতে গিয়ে উপস্থিত হন।
মনিমোহন বাড়ৈ বলেন, আমার ধান কাটার জন্য এলাকায় শ্রমিক পাচ্ছিলাম না। আমি চেয়ারম্যানকে সমস্যার কথা জানালে তিনি লোকজন নিয়ে এসে জমির ধান কেটে আমার ঘরে তুলে দিয়েছেন। চেয়ারম্যান এমন উদ্যোগ না নিলে আমি পাকা ধান ঘরে তুলতে পারতাম কি না সন্দেহ।
ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট বিজন বিশ্বাস বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘আসনি’র আতঙ্কে সবাই যখন নিজ নিজ জমির পাকা ধান কাটতে ব্যস্ত, তখন কৃষক মনিমোহন বাড়ৈ কোনোভাবেই তার জমির ধান কাটাতে পারছিলেন না। খবরটি আমাকে জানানোর পর আমি আমার ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে মনিমোহন বাড়ৈর এক বিঘা জমির ধান কেটে বাড়ি তুলে দিয়েছি। এটা আমাদের মানবিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। কারণ জনপ্রতিনিধির কাজই হলো অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো।
ইউএনও ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট বিজন বিশ্বাস একটি মহৎ কাজ করেছেন। এসময় এভাবেই উপজেলার প্রতিটি এলাকার জনপ্রতিনিধিসহ সবাইকে ধান কাটার জন্য সাহায্যের হাত বাড়ানো উচিত।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৬ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০২২
এসআই