সিলেট: ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে ঢাকাসহ দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। ঝড়ের প্রভাব এতটাই যে,সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ঘিলাছড়া জিরোপয়েন্টে ভেঙে পড়েছে অর্ধশতবর্ষী একটি গুদামঘর।
মঙ্গলবার (১০ মে) সকালে অশনির প্রভাবে বিভাগের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি অব্যাহত ছিল। দুপুরে হযরত গোলাপশাহ (র.) মাজারের প্রবেশদ্বারে পরিত্যক্ত গুদামটি ধসে পড়ে।
জানা গেছে, খাদ্য গুদাম হিসেবে পরিচিত ভবনটি প্রায় ৫০ বছর আগে নির্মিত। তৎকালীন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে গণপূর্ত অধিদপ্তর কর্তৃক গুদামটি নির্মাণ করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকায় চুরি হয়ে যায় গুদামের লোহার তৈরি দরজা ও রেলিং। গুদামের ছাদে ঘাস-লতা জন্মে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। এ অবস্থাতেও স্থানীয়রা বোরো মৌসুমে গুদামে অল্প সময়ের জন্য ধান মাড়াই ও সংরক্ষণ করতেন।
সম্প্রতি গুদামটি আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠলে ভেতর মানুষ প্রবেশ নিয়ন্ত্রিত রাখা হয়।
এ বিষয়ে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, গুদাম ধসের খবর পেয়ে তিনি উপজেলা উপ সহকারী প্রকৌশলীকে সেখানে পাঠান। তিনি প্রতিবেদন জমা দিলে মাসিক সভায় সিদ্ধান্তক্রমে গুদামটি বিক্রির জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হবে।
এ ঘটনায় হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
চেয়ারম্যান আরও জানান, ঝুঁকিপূর্ণ গুমাদের ব্যাপারে এক বছর আগে পরিষদের মাসিক সভায় অবহিত করা হয়। উপজেলা পর্যায়ে আরও ৩টি গুদাম অকেজো ছিল। পরে কৃষি কর্মকর্তা বিভাগীয় পরিচালককে চিঠি দেন, মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া অকেজো এসব ভবন ভাঙা যাবে না। এর পরিপ্রেক্ষিতে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে এর দায় উপজেলা প্রশাসনের নেবে না বলে তারাও পাল্টা চিঠি দেন।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী সুদর্শন সরকার বাংলানিউজকে বলেন, অকেজো গুদামটি ভেঙে পড়ার বিষয়টি জানতে পেরেছি। এ বিষয়ে উপ সহকারী প্রকৌশলীকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলেছি। ভেঙে পড়া ইট-পাথর যাতে লুট না হয়, সে বিষয়ে প্রশাসন সতর্ক রয়েছে। ইট-পাথর চুরি হলে আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, মে ১০, ২০২২
এনইউ/এমজে