নীলফামারী: নীলফামারীর সৈয়দপুরে ঝড়-বৃষ্টির শঙ্কার মধ্যে বোরো ধান কাটা-মাড়াই শুরু হয়েছে। কৃষকরা একসঙ্গে ধান কাটা শুরু করায় সংকট দেখা দিয়েছে শ্রমিকের।
উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে কৃষক পর্যায়ে মেশিনের সংখ্যা একেবারেই কম। আর যা আছে তার সবগুলো মেশিনই ভাড়া ও বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পরিচালিত হচ্ছে। ফলে মেশিনে একজনের ধান মাড়াই চলাকালে আরেকজনকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে মাড়াইয়ের আশায়।
এসব মেশিনে অনেক দ্রুততার সঙ্গে ধান মাড়াই, বস্তাবন্দি করা যাচ্ছে আর খড় ফেলা যাচ্ছে দূরে। এ জন্য প্রতিবিঘা (৬০শতাংশ) জমির ধান মাড়াই করতে মেশিন ভাড়া দিতে হচ্ছে ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা।
উপজেলার বাঙালিপুরের ধান মাড়াই মেশিনের মালিক মোতালেব হোসেন বলেন, গেল বছর একটি ধান মাড়াই মেশিন স্থানীয় লেদ মেশিনে তৈরি করে মাড়াইয়ের কাজ করেছি। এ বছর বেশি চাহিদার কারণে আরও তিনটি ধান মাড়াই মেশিন বগুড়াসহ বিভিন্ন স্থান থেকে সংগ্রহ করেছি। তারপরেও কুলাতে পারছি না।
তিনি বলেন, এই মেশিন চালাতে একজনই যথেষ্ঠ। তবে ধানের আঁটি ঠেলে দিতে ও ধান টানা এবং বস্তাবন্দি করার জন্য শ্রমিক প্রয়োজন। এসব শ্রমিক
কৃষকরাই দিয়ে থাকেন। আর এ মেশিন এক জায়গায় ধান মাড়াইয়ের পর আরেক জায়গায় টেনে নিয়ে বা চালিয়ে নেওয়া যায়।
উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়নের লক্ষণপুর চড়কপাড়ার কৃষক জুলফিকার আলী বলেন, প্রায় ১৫ বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করেছি। সবগুলো ধান একসঙ্গে পেকে গেছে। ধান মাড়াইয়ে এত শ্রমিক পেতে সমস্যা হচ্ছে জন্য মেশিনে ধান মাড়াই করছি। এতে সময় ও অর্থ দুটোই বেচে যাচ্ছে।
এছাড়া প্রতিবিঘা জমির খড় ১ হাজার টাকায় বিক্রি করতে পারছি। এসব খড় শুকিয়ে গোখাদ্য হিসাবে মজুদ করছেন এলাকার গরু মালিকরা।
সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শাহিনা বেগম জানান, দুদফা শিলাবৃষ্টি ও ঝড় হওয়ার কারণে কৃষকরা তড়িঘড়ি করে বোরো ধান কাটা-মাড়াই শুরু করেছেন। এতে শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে।
তবে হারভেস্টার মেশিনে ধান কাটা ও মেশিনে মাড়াইয়ে কৃষকদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। কৃষি বিভাগ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ভর্তুকি মূল্যে এসব মেশিন কৃষকদের মাঝে সরবরাহ করেছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২২
এফআর/