পিরোজপুর: পিরোজপুরের নাজিরপুরে তুচ্ছ ঘটনার জেরে হামলায় উভয় পক্ষের সাত জন আহত হয়েছেন। এ সময় হামলায় বাধা দিতে গেলে নাজিরপুর প্রেসক্লাবের দপ্তর ও তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক মো. আল-আমিন হাজরা (৪০) গুরুতর আহত হন।
ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে উপজেলার শেখমাটিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম ছোট বুইচাকাঠী গ্রামের কুদিরবাড়িতে। আহত আল-আমীন দৈনিক নয়াদিন্তের নাজিরপুর উপজেলা সংবাদদাতা ও ওই গ্রামের মৃত আক্রাম আলী হাজরার ছেলে। তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন। হামলায় আহত অন্যরা হলেন, ওই গ্রামের মুদি ব্যবসায়ী মো. শাহাদাৎ হোসেন (৬৫), তার ছেলে মোনজেল মোল্লা (২৫), মো. রুহুল আমীন মোল্লা (৩০), মো. মাঈনুল হোসেন হাজরা (২৫), মো. শামীম হোসেন হাওলাদার (৩০) ও ঝাপি বেগম (৬০)।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী মো. জামাল হাজরা জানান, রাত ৯টার দিকে হঠাৎ ভ্যানে করে পশ্চিম দিক থেকে ওই এলাকার চরের বাসিন্দা মো. শামীমের নেতৃত্বে কয়েকজন যুবক এসে স্থানীয় মুদি ব্যবসায়ী শাহাদাৎ হোসেন ও তার ছেলে মোনজেলকে মারধর করেন। এ সময় কুদির বাড়ির মসজিদ সংলগ্ন
ব্রিজের ওপর মোবাইল নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা সাংবাদিক আল-আমীন হাজরাকেও তারা মারধর করেন। হামলা করে চলে যাওয়ার সময় ওই সাংবাদিকের ছোট ভাই কলেজ ছাত্র মাইনুল হোসেনকেও পিটিয়ে আহত করেন। এ সময় স্থানীয়দের হামলায় শামীম আহত হন। ওই হামলায় বাধা দিতে গিয়ে গৃহবধূ ঝাপি বেগমও আহত হন।
আহত প্রতিপক্ষের শামীম হাওলাদার জানান, এর কয়েক দিন আগে মোনজেল তাকে মারধর করেন।
আহত সাংবাদিক আল-আমীন হাজরা জানান, হামলাকারীরা তার হাতে থাকা স্মার্টফোন দিয়ে ছবি তোলার অভিযোগ দিয়ে তাকে মারধর করেন।
এ ব্যাপারে নাজিরপুর থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির বলেন, হামলার খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫০ ঘণ্টা, ১৪ মে, ২০২২
এসআইএস