ঢাকা: দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে গ্রেফতার হওয়া প্রশান্ত কুমার হালদারকে (পি কে হালদার) দ্রুত সময়ে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে। সোমবার (১৫ মে) টেলিফোনের মাধ্যমে গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে একথা বলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের আইনি প্রক্রিয়া তো আছেই। এছাড়া আমাদের দেশের আইন আছে, ভারতেরও আইন আছে। আমাদের সঙ্গে তাদের বন্দি বিনিময় চুক্তি আছে। চুক্তিতে যেভাবে বলা আছে সেভাবেই আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো দ্রুত সময়ের মধ্যে তাকে (পি কে হালদার) ফিরিয়ে আনতে।
তিনি বলেন, ইন্ডিয়া, কানাডা, শ্রীলঙ্কা, আরব আমিরাতে আমরা অ্যাবেডিয়ার পাঠিয়েছিলাম। আমরা ইন্টারপোলের মাধ্যমে ওয়ারেন্ট অব অ্যারেস্ট ইস্যুর আবেদন করেছিলাম। ইন্টারপোল রেড এলার্ট জারি করেছে এবং ইন্ডিয়া আমাদের কাছে বিভিন্ন সময় বেশ কিছু তথ্য চেয়েছে; আমরা সেগুলো সরবরাহ করেছি তার ব্যাপারে। যেটা নিয়ম সেটাই করেছি আমরা।
এদিকে পলাতক পি কে হালদারকে গ্রেফতারের বিষয়ে ভারত এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। রোববার এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পি কে হালদার বাংলাদেশের মোস্ট ওয়ান্টেড ব্যক্তি। আমরা ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাকে চেয়েছি। শুনেছি তিনি গ্রেফতার হয়েছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, তারা (ভারত) আমাদের এখনও অফিসিয়ালি কিছু জানায়নি। তারা অফিসিয়ালি আমাদের জানালে তাকে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
শনিবার (১৪ মে) ভারতের পশ্চিমবঙ্গে অভিযান চালিয়ে পি কে হালদারসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে দেশটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। পিকে হালদারের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ রয়েছে। তিনি ছাড়াও গ্রেফতার অন্যান্যরা হলেন- তার ভাই গনেশ হালদার, ইমাম হোসেন, স্বপন মৈত্র, উত্তম মৈত্র ও আমানা সুলতানা। আমানা সার্লি হালদার নামধারণ করে সেখানে বসবাস করতেন। এদের মধ্যে আমানাকে জেলে ও বাকিদের তিনদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘন্টা, মে ১৫, ২০২২
এসএমএকে/এমজে