দিনাজপুর: দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলায় নিজের ঘর থেকে রিতা আক্তার (২৩) নামে এক মাস্টার্স পরীক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় একটি চিরকুটও উদ্ধার করা হয়।
রোববার (১৫ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের রাজারামপুর চামড়াগুদাম গ্রামে ওই পরিক্ষার্থীর নিজ শয়ন কক্ষ থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
রিতা আক্তার ইউপি সদস্য মো. মোশারফ হোসেনের মেয়ে। তিনি দিনাজপুর সরকারি কলেজের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তর শেষ বর্ষের পরীক্ষার্থী ছিলেন।
উদ্ধারকৃত চিরকুটে ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়, এখানে কিছু টাকা আছে, সেটা দিয়ে আমার দাফন কাফন করিও’ লেখা ছিল। এসময় তার ব্যবহৃত মোবাইল, সিমকার্ড ও ম্যামোরি কার্ড উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রিতা আক্তার প্রতিদিনের মতো শনিবার (১৪ মে) রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষে নিজের কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। রোববার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে মা মমতাজ বেগম তাকে ঘুম থেকে ওঠার জন্য একাধিকবার দরজার কড়া নাড়েন। কিন্তু কোনো সাড়া না পেয়ে দরজা খুলে ভিতরে ঢুকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় মেয়ের মরদেহ ঝুলতে দেখেন। এসময় তার চিৎকার শুনে বাবা ছুটে এসে ওড়না কেটে রিতাকে নিচে নামান। পরে থানায় খবর দিলে দুপুরে পুলিশ এসে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এ বিষয়ে ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশ্রাফুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। নিহতের ব্যবহৃত একটি স্মার্ট মোবাইল ফোনসহ একটি চিরকুট জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত মোবাইলে কোনো সিম ও ম্যামোরি কার্ড ছিল না। চিরকুটে লেখা রয়েছে ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়, এখানে কিছু টাকা আছে, সেটা দিয়ে আমার দাফন কাফন করিও। ’ কিন্তু আমরা সেখানে কোনো টাকা পাইনি। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪১ ঘণ্টা, ১৫ মে, ২০২২
এমএমজেড