নওগাঁ: আমের বাণিজ্যিক রাজধানী নওগাঁয় চাষ হচ্ছে নয় জাতের বিদেশি আম। বিভিন্ন রংয়ের এসব আম নজর কাড়বে যে কারো।
গাছ জুরে ঝুলছে লাল আর খয়েরি রঙের আম। মিয়াজাকি, রেড এমপেরর, রেড আইভরি, কেইট, কোহিতুর, আনোয়ার রাতাউল, আমেরিকান, রেড পালমার, অস্টিন, গ্লেইন সহ বাহারী নামের এসব আম সবই বিদেশি জাতের। দেখলে মনে হবে এগুলো পাকা আম।
নওগাঁ সাপাহার উপজেলার সোহেল রানা নামে এক তরুণ কৃষক প্রায় ৮০ বিঘা বাগানের বড় অংশ জুড়ে এসব আম চাষ করেছেন। জাতগুলো মূলত থাইল্যান্ড, ইতালি, মেক্সিকো, ইন্ডিয়াসহ বিভিন্ন দেশের।
সোহেল রানা বাংলানিউজকে বলেন, গেলো তিন বছরের চেষ্টায় সফল হয়েছি। বাহারী রঙের এমন আমের চাহিদা, এবং দামও অনেক। অন্যান্য আমের তুলনায় চাষ পদ্ধতি খুব একটা আলাদা নয়। দেশের মাটিতে বিদেশি জাতের আম চাষের নেশা থেকে আমি এমন বাগান করেছি। তবে বাংলাদেশের মাটিতে এতো ভালো ফলন হবে, তা কল্পনাও করিনি।
এসব আমের চারা কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় বিভিন্ন দেশ থেকে তিনি সংগ্রহ করেছেন। আমগুলো রঙ এবং স্বাদ- সব দিক দিয়েই সেরা। তাই এ আমগুলো বাংলাদেশ থেকে বিদেশে রপ্তানির কথা ভাবছেন তিনি।
শুধু সোহেল নন, দেশীয় আম বাগানের পাশাপাশি বিদেশি জাতের আম চাষে আগ্রহ বাড়ছে এ জেলার চাষিদের মধ্যে। কৃষি বিভাগের সহযোগিতা বা প্রশিক্ষণ পেলে বিদেশি জাতের এসব আম চাষে ব্যাপক সম্ভাবনা দেখছেন তারা।
নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সামছুল ওয়াদুদ বাংলানিউজকে জানান, গত বছর এ জেলা থেকে প্রায় ১৬শ’ মেট্রিকটন আম রপ্তানি করা হয়েছিল বিদেশে। এ বছর প্রায় তিন গুণ বেশি রপ্তানির লক্ষ্য রয়েছে। এ কারণে অর্গানিক পদ্ধতিতে এসব আম উৎপাদনে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি বিদেশি জাতের এসব আম চাষে কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশের মাটি সব ধরনের আম চাষের জন্য উপযোগী। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এ মাসের মাঝামাঝিতেই এসব আম সংগ্রহ শুরু হবে।
এদিকে জেলাজুড়ে কয়েকশ’ টন আম রপ্তানির লক্ষ্যে প্রস্তুতি চলছে। যদিও রপ্তানি প্রক্রিয়ার জটিলতায় অনেকেই রপ্তানির সুযোগ নিতে পারছেন না।
ফলে রপ্তানি সুবিধা সহজ করার দাবি জানিয়েছেন কৃষকরা।
বাংলাদেশ সময়: ০৭২৭ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২২
এসআই