খুলনা: খুলনায় দুই খালাতো বোন গণধর্ষণের ঘটনায় ৩ জনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
সোমবার (১৬ মে) সকালে বটিয়াঘাটা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ জালাল বাংলানিউজকে বলেন, গণধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ নাঈম নামের একজনকে আটক করেছে।
সোমবার দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাব-৬ খুলনার পরিচালক লে. কর্ণেল মুহাম্মাদ মোসতাক আহমদ বলেন, ধর্ষণের ঘটনা জানার পর র্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৬ মে ভোরে বটিয়াঘাটার বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে মুজাহিদ শেখ ও আজিজুল মোড়ল ওরফে মিশরিয়াকে আটক করে। র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করেছে। তবে এ ঘটনার সঙ্গে আর কারা জড়িত তা পরে জানা যাবে।
নির্যাতনের শিকার মাদরাসা ছাত্রীর মা বলেন, শনিবার বিকেলে আমার মেয়ে ও বোনের মেয়েকে বাড়িতে রেখে ডুমুরিয়া যেই। ওই সময় আমার স্বামীও বাড়িতে ছিলেন না। আমাদের অবর্তমানের সুযোগ নিয়ে গভীর রাতে বাড়িতে ঢুকে অস্ত্রের মুখে আমার ১৩ বছরের মেয়েকে গণধর্ষণ করেছে এলাকার এক বখাটেসহ ৬/৭ যুবক। এ সময় ওই বাড়িতে বেড়াতে আসা আমার বোনের মেয়েকেও (২২) ধর্ষণ করে বখাটেরা। যার ২৪ মাস বয়সের একটি শিশু রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ঘটনার সময় আমার বোনের মেয়ের শিশুর গলায় ছুরি ধরা ছাড়াও তাকে পানিতে ডুবিয়ে রাখা হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে খুলনা শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাতে আমার মোবাইলে চার্জ না থাকার কারণে ফোন বন্ধ ছিল। পরে সকালে মেয়ে ফোন করে কান্নাকাটি করে গণধর্ষনের ঘটনা জানালে বাড়িতে ফিরে এসে সব শুনি।
রোববার (১৫ মে) রাতে ভিকটিমদের খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা। তাদের হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার বা ওসিসিতে স্থানান্তর করা হয়েছে। বটিয়াঘাটা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ ভিকটিমের জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৩ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২২
এমআরএম/কেএআর