পাথরঘাটা (বরগুনা): বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় অবৈধভাবে চুল্লিতে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা বানানো হতো। যা পরিবেশ ও মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর।
বৃহস্পতিবার (১৯ মে) দুপুরে পৃথক অভিযান চালিয়ে চুল্লিগুলো ভেঙে দিয়ে অবৈধ এ কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দেন পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হোসাইন মুহাম্মদ আল-মুজাহিদ।
অভিযানে উপজেলার কাঠালতলী বকুলতলা গ্রামের জাহাঙ্গীর মিয়ার আটটি, রায়হানপুর ইউনিয়নের রায়হানপুর গ্রামের সোহাগের দু’টি চুল্লি ও একই ইউনিয়নের মাদারতলী গ্রামের ফজলুর সরদারের তিনটি চুল্লি ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হোসাইন মুহাম্মদ আল মুজাহিদ বলেন, কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি করা অবৈধ কাজ। এগুলো মানুষ ও পরিবেশের জন্য হুমকি স্বরূপ। এলাকার মানুষের অভিযোগের ভিত্তিতে আগে তাদের সতর্ক করা হয়। কিন্তু তারপরও কার্যক্রম বন্ধ না করায় অবৈধভাবে কয়লা তৈরির চুল্লিগুলো সম্পূর্ণ ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয় বাংলাদেশের পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) পাথরঘাটা উপজেলা সমন্বয়ক শফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, ফসলি জমি ঘেঁষে এবং ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় কারখানা স্থাপন করায় পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। বিষাক্ত ধোঁয়ায় ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। এসব চুল্লি জ্বলে দিন-রাত। প্রতিদিন পোড়ানো হচ্ছে শত শত মণ কাঠ। বিগত দিনে একাধিকবার প্রশাসন বন্ধ করলেও অসাধু ব্যবসায়ীরা সুযোগ বুঝে ফের কাঠ পোড়ানো শুরু করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৬ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২২
এসআই