খুলনা: জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ মে) দুপুরে খুলনা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, ঘুমন্ত বাঙালি জাতিকে কবিতার মাধ্যমে জাগিয়ে তুলেছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম। তিনি তার সাহিত্য এদেশের নিপীড়িত, শোষিত, নিষ্পেষিত মানুষের মুক্তির কথা বলে গেছেন। তাইতো তিনি জাগরণের কবি, মুক্তির কবি। কাজী নজরুল আজীবন সাম্যের গান গেয়েছেন। ধনী-দরিদ্রের সাম্য, নারী-পুরুষের সাম্য, হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানের মধ্যে সাম্য ছিল তার লেখনির মূল প্রতিপাদ্য। পরাধীনতার শেকল ছিঁড়ে কীভাবে আপন শক্তিতে জ্বলে উঠতে হয় তা তিনিই প্রথম জাতিকে শিখিয়েছিলেন। তাই যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, যতদিন বাঙালি জাতি থাকবে ততদিন তার সাহিত্যকর্ম প্রাসঙ্গিক হয়ে থাকবে। তিনি নতুন প্রজন্মকে রবীন্দ্রনাথ, নজরুল ও বঙ্গবন্ধুকে জানার মাধ্যমে নিজেদের জীবন গড়ে তোলার আহ্বান জানান। একইসঙ্গে তাদের অসাম্প্রদায়িক চেতনা সমাজে সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিয়ে সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ে তোলার জন্য সবাইকে অনুরোধ করেন।
মুখ্য আলোচক ছিলেন নজরুল চর্চা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান অগ্নিবীণার চেয়ারম্যান এইচ এম সিরাজ। খুলনার জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন আযম খান সরকারি কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর কার্ত্তিক চন্দ্র মন্ড। শুভেচ্ছা জানান খুলনা নজরুল একাডেমির সাধারণ সম্পাদক মাসুদ মাহমুদ।
দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের মধ্যে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে নজরুল সাহিত্য প্রতিযোগিতা, নজরুল কেন্দ্রিক গবেষকদের সাহিত্যকর্ম উপস্থাপন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
আগামী বুধবার (২৫ মে) বিকেল ৪টায় সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. ইসমাইল হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০২২
এমআরএম/আরবি