শিরোনাম দেখে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। কিন্তু বাস্তবতা অনেকটা এরকমই।
কিন্তু কেন এত দূরত্ব অতিক্রম করতে হবে?
মিতালী এক্সপ্রেসে চেপে জলপাইগুড়ি যেতে হলে ইমিগ্রেশনের সব আনুষ্ঠানিকতা সারতে হবে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে। পথে আর দ্বিতীয় কোনো ইমিগ্রেশন সেন্টার নেই।
তার মানে চিলাহাটির মানুষকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকেই ট্রেনে উঠতে হবে। চিলাহাটি থেকে ঢাকার দূরত্ব ৪৫৩ কিলোমিটার। তার মানে এই দূরত্ব তাদের দুবার অতিক্রম করতে হবে।
বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চিলাহাটির মানুষ। তাদের বক্তব্য, নয়শ’ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে বাড়ির কাছে আসব, তারপর ৭১ কিলোমিটার দূরে জলপাইগুড়ি যাব, এর চেয়ে দুঃখের কথা আর কী হতে পারে!
বুধবার (০১ জুন) দুপুরে ট্রেনটি চিলাহাটিতে পৌঁছায়। তখন কেউ কেউ হাত নেড়ে যাত্রীদের অভিবাদ জানান। তখন ক্ষোভও প্রকাশ করে স্থানীয় কয়েকজন বলেন, ‘বাড়ির কাছে স্টেশন। অথচ এই ট্রেনে ভারতে যেতে হলে ৪৫৩ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে যেতে হবে। আবার একই পথে ফিরে জলপাইগুড়ি যেতে হবে। এটি কত বড় দুঃখ আমাদের জন্য!’
ট্রেন দেখতে আসা গৃহবধূ হোসেনে আরা বলেন, ‘হামার বাড়ির উপর দিয়া ইন্ডিয়ান টেরেন যাইবে, হামরা বেলে এটে কোনো চড়িবার পাবো না। হামাক বাসত না হয় টেরেনোত চড়ি ঢাকায় যায়া টেরেন ধরিবার লাগিবে। এইলা যন্ত্রণা কায় করে ব্যাহে। হামার মনটা বেজার করে দিছি। ’
চিলাহাটির সাংবাদিক তোজাম্মেল হোসেন মনজু বলেন, উত্তরাঞ্চলের যাত্রীদের রংপুর, দিনাজপুর ও চিলাহাটি আন্তর্জাতিক স্টেশনে মিতালীর ট্রেনের টিকিট বিক্রি ও চিলাহাটি থেকে নিউ জলপাইগুড়ি জন্য অতিরিক্ত বগি ও আসন ব্যবস্থা এবং চিলাহাটি স্টেশনে ইমিগ্রেশন সেন্টার ব্যবস্থার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে চিলাহাটিবাসী।
এ বিষয়ে রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চিলাহাটিতে ইমিগ্রেশন চালু করতে সময় লাগবে। সম্প্রতি রেলমন্ত্রী চিলাহাটি স্টেশন পরিদর্শনে এসে ঘোষণা দিয়েছিলেন চিলাহাটির জন্য পৃথক দুটি ট্রেনের কোচ দেওয়া হবে। সেই কোচে উত্তাঞ্চলের যাত্রীরা নিউ জলপাইগুড়ি ও চিলাহাটির মধ্যে মিতালী এক্সপ্রেসে যাতায়াত করতে পারবেন।
আরও পড়ুন:
>>> আন্তঃদেশীয় মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেনের চলাচল শুরু
বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০২২
এনটি