ফরিদপুর: ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় বাড়িঘর ভাঙচুরের মামলা তুলে না নেওয়ায় বাদীর বাড়িতে ফের হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের কুমারপট্রি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার (১০ জুন) সকালে সালথা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আওলাদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৯ জুন) বিকেল তিনটায় হামলার ঘটনা ঘটে।
মামলার বাদী আহত মতিউর রহমান (মতি মেম্বার) বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে আমার বাড়িতে হামলা করে মুক্ত মেম্বারের লোকজন। আমি তার চারভাইসহ তাদের দলের আরও লোককে আসামি করে মামলা করি, যা আদালতে বিচারাধীন। মামলাটি তুলে নিতে আসামিরা আমাকে দীর্ঘদিন থেকে চাপসহ হুমকি দিয়ে আসছিল।
মতি মেম্বার অভিযোগ করে বলেন, বৃহস্পতিবার বিকাল তিনটার দিকে আমি বিনোকদিয়া আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যাচ্ছিলাম। পথে কাজী কামরুজ্জামানের বাড়ির সামনে গেলে মুক্ত, শাহ আলম, সজীব ও মাহমুদসহ ১০-১২ জন আমাকে গতিরোধ করে মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি দেয় । এসময় শাহআলম হেলমেট দিয়ে আমাকে মারতে থাকে। আমার চিৎকার শুনে পাশের বাড়ির মমতাজ নামের এক ভ্যানচালক এসে আমাকে উদ্ধার করে। এর কিছুক্ষণ পরে শাহআলমের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন লোক এসে আমার বাড়ি ও আমার ভাইয়ের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এসময় আমার স্ত্রী ও ভাবিকে পিটিয়ে আহত করে।
আমেনা আক্তার বলেন, ২০-২২ জন লোক এসে আমাদের বাড়িতে হামলা করে। দরজার ফাঁক দিয়ে আমি ওদের কর্মকাণ্ড ভিডিও করে রেখেছি।
হামলার ঘটনা অস্বীকার করে মুক্ত মেম্বার বলেন, আমরা কোনো হামলা করিনি। আমার ভাইকে পিটিয়ে মতি মেম্বার চোখ নষ্ট করে দিয়েছে। ভিডিওর ব্যাপারে তিনি বলেন, ওটা আগের ভিডিও।
সালথা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আওলাদ হোসেন বলেন, মামলার হাজিরা দিয়ে শাহ আলম, মুক্ত মেম্বারসহ কয়েকজন আসামি বাড়িতে ফেরার পথে মতি মেম্বারের সঙ্গে দেখা হলে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। হাতাহাতির পরে শাহ আলম ও মুক্ত মেম্বার তার দলবল নিয়ে মতি মেম্বার ও তার ভাই হায়াত আলী মাতুব্বরের বাড়ি হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার এজাহার দায়ের করলে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান এসআই আওলাদ হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৮১৪ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০২২
এসএ