ঢাকা: আন্তর্জাতিক ফ্যামিলি রেমিট্যান্স দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, নিউইয়র্ক কনস্যুলেটে 'রেমিট্যান্স এবং উন্নয়ন' শীর্ষক এক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সহিদুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
শুক্রবার ( ১৭ জুন) নিউইয়র্ক কনস্যুলেট অফিস এ তথ্য জানায়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত মো. সহিদুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে তা বিশদভাবে উল্লেখ করেন। ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এক নতুন গতি সঞ্চার হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। বাংলাদেশ সরকারের প্রবাসী বান্ধব নীতি ও পদক্ষেপের বর্ণনা করে তিনি প্রবাসীদের বৈধ পথে আরও রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য অনুরোধ করেন।
তিনি সরকারের বিভিন্ন প্রণোদনা ও সুবিধা সমূহ আগামীতে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহরে যেখানে অধিক সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি রয়েছে সেখানে ব্যাপক প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে জনসচেতনতা তৈরির ওপর জোর গুরুত্বারোপ করেন। রেমিট্যান্স প্রেরণের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত এক্সচেঞ্জ হাউসগুলোর অবদানের কথা উল্লেখ করে তাদের সহযোগিতা ও প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান সহিদুল ইসলাম।
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে পিপল টু পিপল রিলেশনকে একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হিসেবে অভিহিত করে তিনি দু’দেশের মধ্যকার সহযোগিতাকে আরও গভীর ও শক্তিশালী করণে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভূমিকার প্রশংসা করেন।
অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নিউয়র্কস্থ সোনালী এক্সচেঞ্জের প্রেসিডেন্ট ও সিইও দেবশ্রী মিত্র। তিনি তার উপস্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রবাহের হাল-নাগাদ চিত্র তুলে ধরেন এবং এ প্রবাহ বাড়ানোর বিষয়ে সরকারের প্রদত্ত নানাবিধ সুযোগ-সুবিধার বর্ণনা করেন, যার মধ্যে অন্যতম হলো বৈধভাবে অর্থ পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রণোদনা শতকরা ২ থেকে ২.৫ ভাগে উন্নীতকরণ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বাংলাদেশের অর্থনেতিক উন্নতিতে প্রবাসীদের ভূমিকা, বিশেষ করে এ উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় রেমিট্যান্সের অপরিসীম অবদানের কথা দৃঢ়তার সঙ্গে ব্যক্ত করেন। বর্তমান বিশ্ববাস্তবতায়-একদিকে করোনা মহামারির নেতিবাচক প্রভাব ও অন্যদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন পরিস্থিতি- রেমিট্যান্সের প্রাসঙ্গিকতা ও প্রয়োজনীয়তা পূর্বের যেকোন সময়ের চেয়ে বেশি বলে কনসাল জেনারেল যোগ করেন।
অনুষ্ঠানে নিউইয়র্কে অবস্থিত বাংলাদেশের রেমিট্যান্স এজেন্সির প্রতিনিধিসহ সেখানে বসবাসরত বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং রাজনৈতিক, সামাজিক, ব্যবসায়িক, সংস্কৃতি ও মিডিয়া অঙ্গনের নেতাকর্মী ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩১ ঘণ্টা, জুন ১৭ ২০২২
টিআর/জেডএ