হবিগঞ্জ: সিলেটের মানুষ এখন মোকাবিলা করছে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির। সংকটাপন্ন এ অবস্থায়ও অভিযোগ উঠেছে হবিগঞ্জ-সিলেট রুটে চলাচলকারী বাসগুলো যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে।
শনিবার (১৮ জুন) সন্ধ্যায় সিলেটের সীমান্তিক মিডওয়াইফারী ইনস্টিটিউটের ক্যাম্পাস থেকে হবিগঞ্জ ফিরছিলেন বন্যা কবলিত সানজিদা ইসলাম, পুষ্প আক্তার, নাহিদা আক্তার ও নাজমিন আক্তার জান্নাতসহ ৮ শিক্ষার্থী। সিলেটের হুমায়ুন রশীদ চত্বর থেকে হবিগঞ্জ পর্যন্ত তাদের কাছে মাথাপিছু ৩০০ টাকা করে ভাড়া নেওয়া হয়েছে; অথচ এ জায়গার নিয়মিত ভাড়া ১৮০ টাকা।
শিক্ষার্থী নাজমিন আক্তার জান্নাত বাংলানিউজকে জানান, ক্যাম্পাসের চারদিকে কোমর পানি জমে গেছে। ক্যাম্পাসে বিদ্যুৎ নেই। আরও বিভিন্ন সমস্যার কারণে ক্যাম্পাসটি বন্ধ ঘোষণা করায় তারা ফিরছিলেন। কিন্তু উপশহর এসে হবিগঞ্জ-সিলেট বিরতিহীন বাসে উঠতে চাইলে তাদের কাছে ৩৫০ টাকা করে ভাড়া চাওয়া হয়। ছাত্রীরা এক পর্যায়ে ৩০০ টাকা ভাড়ায় আসতে বাধ্য হয়েছেন।
শিক্ষার্থী সানজিদা ইসলাম ও পুষ্প আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, ১৮০ টাকার জায়গায় কেন ৩০০ টাকা ভাড়া নেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে বাসের কন্ডাক্টর তাদের গাড়ি থেকে নেমে যেতে বলেছিলেন।
একইদিন বিভিন্ন সময়ে সিলেট থেকে আসা সৌরভ মিয়া, কাউছার আহমেদ, খায়রুল আলম ও ফারুক মিয়াসহ কয়েকজন জানান, সড়কে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা রয়েছে— এ অযুহাত দেখিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে দিনভর যাত্রীদের সঙ্গে বাস শ্রমিকদের বাগবিতণ্ডা লেগেই ছিল।
এ বিষয়ে হবিগঞ্জ বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শঙ্খ শুভ্র রায় বাংলানিউজকে বলেন, অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার একটি অভিযোগ পেয়েছি। এ নিয়ে সমিতির নেতাদের সঙ্গে সভায় বসেছি। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৬ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০২২
জেডএ