ঢাকা: সবাইকে তিনটি করে গাছ লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।
সোমবার (২০ জুন) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁও পরিবেশ অধিদপ্তরের মিলনায়তনে ‘বিশ্ব খরা ও মরুকরণ প্রতিরোধ দিবস’ উপলক্ষে সেমিনারে তিনি এ আহ্বান জানান।
সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আবদুল লতিফ।
শাহাব উদ্দিন বলেন, আমাদের দেশের মানুষের সচেতনতার বড় অভাব। আমরা পরিবেশ রক্ষা করতে চাই কিন্তু আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করি না। দেশে মিল-ইন্ডাস্ট্রি যেগুলো আছে বিত্তশালীদের ইটিপি বসাতে আমরা বাধ্য করেছি। জানি তারা সব সময় ইটিপি ব্যবহার করেন না। যে কারণে ঢাকার চার পাশের নদীর পানি কালো। পানি দূষণ করার জন্য কী ইন্ডাস্ট্রি তৈরি করা হয়েছে। নিজে উন্নত হব, জাতিকে ধ্বংস করে নয়। দেশ ও জাতিকে রক্ষা করে আমরা উন্নত হব।
তিনি বলেন, আজ থেকে ২০-৩০ বছর আগে বুড়িগঙ্গা ও ধলেশ্বরী নদীর পানি দূষিত ছিল না। পরিবেশ রক্ষায় আমরা কেউই পিছ পা হব না। সব ধরনের পরিবেশ দূষণ থেকে পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও দেশের জনগণ সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করব।
গাছ লাগানোর কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, রাজশাহী ও রংপুর এলাকায় আগে জমিতে এক ধরনের ফসল উৎপাদন হত। ওইসব জমিতে এখন দুই ধরনের ফসল উৎপাদন হচ্ছে। খরা থেকে জমিগুলোকে আমরা উদ্ধার করতে পেরেছি। দীর্ঘদিন জমিগুলোর সক্রিয়তা ধরে রাখা নিয়ে অনেকের শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এসব অঞ্চলে প্রায় দুই কোটি গাছ লাগানো হচ্ছে। এসব অঞ্চলে আরও দুই কোটি গাছ লাগানো হবে। আমাদের মন্ত্রণালয়ের কাজ হচ্ছে গাছ লাগানো। বর্তমানে দেশের জনসংখ্যা ১৭ থেকে ১৮ কোটি। দেশে সবাই মিলে একটি করে গাছ লাগালে ১৭-১৮ কোটি গাছ লাগানো যাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রত্যেককে তিনটি করে গাছ লাগাতে বলেছেন। দেশে সবাই তিনটি করে গাছ লাগালে ৫০ থেকে ৫১ কোটি গাছ লাগানো যাবে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্ৰণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, পরিবেশ অধিদপ্তর, ঢাকা গবেষণাগারের পরিচালক ড. মুসোহরাব আলি, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রফেসর অধ্যাপক ড. আব্দুল হামিদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৭ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২২
এমএমআই/আরবি