জামালপুর: বৃষ্টি না থাকলেও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে জামালপুরের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৫০ হাজার মানুষ। বন্ধ হয়েছে ৫০টিরও বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
২৪ ঘণ্টায় জামালপুরে যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদ-নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৫৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২১ জুন) সকাল ৯টায় জামালপুরে যমুনার পানি বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্ট ৫৪ সেন্টিমিটারের ওপর প্রবাহিত হচ্ছে। একদিনে যমুনার পানি ৯ সেন্টিমিটার বেড়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পানি পরিমাপক আব্দুল মান্নান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জামালপুরের ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, মাদারগঞ্জ, মেলান্দহ, সরিষাবাড়ি ও বকশীগঞ্জে বন্যার পানি বৃদ্ধির ফলে ছয় উপজেলায় ৩৫টি ইউনিয়নে পানি প্রবেশ করায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
এছাড়াও মাদারগঞ্জ উপজেলার পৌর এলাকায় একটি কাঁচা সড়ক পানির তোড়ে ধসে গিয়ে বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
জামালপুরে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে ১২শ হেক্টর ফসলের মাঠ। প্রায় ৫০টির মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ডুবে গিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়াও ভাঙনের কবলে পরে ২০টি বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
ইসলামপুর উপজেলার পশ্চিম বামনা ঘোনাপাড়া গ্রামে বন্যার পানিতে ডুবে আরিফা (৮) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শিশুটি ওই গ্রামের মো. আলম মিয়ার মেয়ে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন জানান, বন্যা দুর্গতদের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিটি উপজেলায় ৫০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ১ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় ১০৩টি আশ্রয় কেন্দ্র ও ৮০টি মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এরই মধ্যে ৪০টি পরিবার আশ্রয় কেন্দ্রে উঠেছে। বন্যা মোকাবিলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৪ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০২২
আরএ