টাঙ্গাইল: উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর টানা বৃষ্টিতে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে অস্বাভাবিক হারে প্রতিদিনই পানি বাড়ছে। ফলে উপজেলার গোবিন্দাসী, গাবসারা, নিকরাইল ও অর্জুনা ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে।
এদিকে উপজেলার গাবসারাসহ নিম্নাঞ্চলে বন্যার পানি প্রবেশ করে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। সেই সঙ্গে চরাঞ্চলের অসংখ্য পরিবার নদী ভাঙনের শিকার হয়ে গোবিন্দাসীর যমুনা বেড়িবাঁধে (কালা সড়কে) পলিথিনের ছাউনি তৈরি করে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
এছাড়া পানির তীব্র স্রোতে রাস্তাঘাট ভেঙে প্রতিদিন নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
অপরদিকে চরাঞ্চলে গবাদিপশু নিয়ে দুর্বিষহ দিন কাটাচ্ছেন বানভাসিরা। বন্ধ রয়েছে বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান। ভেসে যাচ্ছে পুকুরের মাছ। তলিয়ে যাচ্ছে পাট, আউশ ধানসহ বিভিন্ন ফসল।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) টাঙ্গাইল সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (২০ জুন) সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার (২১ জুন) সকাল ৬টা পর্যন্ত যমুনা নদীর পানি ১৫ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার, ঝিনাই নদীর পানি ১৫ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৫৪ সেন্টিমিটার এবং ধলেশ্বরী নদীর পানি ১৬ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সরেজমিনে উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের খানুরবাড়ী, ভালকুটিয়া ও চিতুলিয়াপাড়া এলাকায় দেখা গেছে, প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই পানি উঠেছে। তলিয়ে গেছে যাতায়াতের রাস্তা-ঘাট। ঘরবাড়ি ও আশপাশে পানি প্রবেশ করায় গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে রয়েছে লোকজন। দেখা দিয়েছে গো-খাদ্যের অভাব। ভাঙনরোধে জিও ব্যাগ ফেলছে পাউবো।
ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. ইশরাত জাহান বাংলানিউজকে বলেন, উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। এখনও কোনও বরাদ্দ পাইনি। বরাদ্দ পেলেই বন্যার্তদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০২২
এসআরএস