ঢাকা: জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, প্রাকৃতিক সম্পদের সুরক্ষা ও সদ্ব্যবহার নিশ্চিত এবং মানুষের সৃজনশীলতাকে ঊর্ধ্বে রেখেই প্রযুক্তি প্রয়োগ করতে হবে।
বুধবার (২২ জুন) সকালে আগারগাঁওয়ের জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুফল প্রয়োগ করে কীভাবে আর্থ-সামাজিক পরিবর্তন, জীবনমান উন্নয়ন এবং সেবা দেওয়া সহজ ও নির্বিঘ্ন করার ওপর এক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।
মুনীর চৌধুরী বলেন, মানুষকে বিলুপ্ত করে নয়, মানুষ ও যান্ত্রিকতার সমন্বয়ে প্রযুক্তিকে কার্যকর করতে হবে। রোবট মানুষের নিয়ন্ত্রণে থাকবে, মানুষ যেন রোবট বা প্রযুক্তির দাস না হয়। বিশেষতঃ মানি লন্ডারিং, দুর্নীতি ও পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রযুক্তিকে দক্ষভাবে কাজে লাগাতে হবে।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এটুআই এর প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর।
এছাড়া কর্মশালায় অংশ নেন যুগ্ম সচিব মো. ইমতিয়াজ হোসেন এবং বিজ্ঞান জাদুঘরের কর্মকর্তারা।
কর্মশালায় ভবিষ্যতের বাংলাদেশের জন্য প্রযুক্তি-সমৃদ্ধ উন্নয়নের একটি রূপরেখা উপস্থাপন করা এবং এ লক্ষ্যে সরকারি কর্মকর্তাদের প্রযুক্তি বান্ধব হওয়ার ওপর আলোকপাত করা হয়। সরকারের ডিজিটাল রূপকল্প বাস্তবায়নে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ভূমিকাও তুলে ধরা হয়।
কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব সত্যজিত রায় দাশ এবং বিজ্ঞান জাদুঘরের সিনিয়র কিউরেটর সুকল্যান বাছাড়। কর্মশালায় বক্তব্য দেন বিজ্ঞান জাদুঘরের পরিচালক এ কে এম লুৎফুর রহমান সিদ্দীক।
সামরিক বাহিনী ও বেসামরিক প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ ব্যাংক ও পেশাজীবী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা এতে অংশ নেন। অংশগ্রহণকারীরা বিআইজিএম এর পলিসি অ্যানালাইসিস কোর্সের ১৫তম ব্যাচের প্রশিক্ষণার্থী।
অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণার্থীদের বিজ্ঞান জাদুঘরের পক্ষ থেকে স্মারক উপহার দেওয়া হয় এবং প্রশিক্ষণার্থীদের বিজ্ঞান জাদুঘরের গ্যালারি ও প্রদর্শনীগুলো দেখানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১১০ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২২
এসএমএকে/আরআইএস