পদ্মা সেতু এলাকা (মাওয়া) থেকে: নিজ এলাকার সেতুতে উঠে হাঁটবেন বা উদ্বোধনের দিনই গাড়িতে করে ওপারে যাবেন- এই আশায় সমাবেশস্থলে এসেছিলেন অনেকেই। যদিও সবার আশা পূরণ হয়নি।
শনিবার (২৫ জুন) সকালে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পরপরই সেতু এলাকায় জনসাধারণের ঢল নামে। দুপুরের পর বিকেল গড়ালে লোকে লোকারন্য হয়ে যায় মাওয়া এলাকা। এরইমধ্যে বিকেলের দিকে মাওয়া এলাকায় বেড়া পেরিয়ে সেতুর স্থলভাগে উঠে যান অনেক উৎসুক জনতা। অবশ্য পরে নিরাপত্তাকর্মীরা তাদের সরিয়ে দেন।
পরে মাওয়ার শিমুলিয়া ঘাট এবং আরেক দিকে পুরাতন ফেরিঘাটে মানুষের ঢল নামে বিকেলে।
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার ভাটিমভোগ গ্রামের থেকে এসেছেন কাউয়ুম হাওলাদার। তিনি বলেন, সেতুতে উঠে হাঁটব- এই আশায় এসেছিলাম। তবে হতাশ হয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, আজকে না উঠলে জীবনেও উঠা হবে না। তাই এসেছিলাম। আজকে ব্রিজে উঠার সুযোগ দেওয়া উচিত ছিল।
অবশ্য সেতু কর্তৃপক্ষ আগেই জানিয়েছিল যে, সেতুতে হেঁটে যাওয়া যাবে না, জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হবে উদ্বোধনের পরদিন সকাল ৬টায়। নির্ধারিত টোল দিয়ে পার হতে হবে সেতু।
মুন্সিগঞ্জের আরেকজন এসেছিলেন সেতুর উদ্বোধন দেখতে। বিকেলে পুরাতন ফেরিঘাটে বেড়াতে এসেছেন তিনি। জানালেন, ঈদের মধ্যে পদ্মা পারাপারে যে ভোগান্তিটা হতো, সেটা হবে না। মানুষের এখন অনেক আরাম হবে।
পুরাতন ফেরিঘাটের দোকানদার স্থানীয় কবিতর খোলা এলাকার বাসিন্দা রমজান আলী জানান, এখানে শুক্র ও শনিবার এমনিতেই মানুষ বেশি হয়। তবে আজ ভিড় আরও বেশি।
পুরাতন ফেরিঘাটে দেখা যায় রকমারি পণ্যের ভ্রাম্যমাণ দোকান এবং ফেরি করে বিক্রি হচ্ছে শিশুদের খেলনা সামগ্রী।
সন্ধ্যায় সেতুতে লাইট জ্বলে উঠায় পেছনে সেতু এবং নদী রেখে ফটো কিংবা সেলফি তুলে স্মৃতির ফ্রেমে বন্দি হয়েছেন ছেলে-বুড়ো সবাই।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৩ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০২২
এমআইএইচ/এসএ