কেরানীগঞ্জ (ঢাকা): যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু। রোববার (২৬ জুন) সকাল ৬টা থেকে পদ্মা সেতুতে যান চলাচল শুরু হয় ।
তবে চির সুন্দর ও আনন্দকে মুহূর্তেই মলিন করে দিতে পারে অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে লাগানো বিলবোর্ড ও ব্যানার। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বিআইডাব্লিউটিএ, বিআরটিএসহ স্থানীয় ও জাতীয় রাজনৈতিক নেতাদের সৌজন্যে লাগানো এসব বিলবোর্ড-ব্যনার এখন ঢাকা-মাওয়া হাইওয়ের গলার কাঁটা।
পুলিশ বলছে শনিবার (২৫জুন) থেকে মানুষের কল পাচ্ছি। আমরা নিজেদের উদ্যোগে এই পর্যন্ত কয়েকশ বিলবোর্ড-ব্যানার সরিয়েছি। তবে বড় বড় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে বিলবোর্ড হওয়ায় আমাদের সরাতেও সমস্যা হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ঢাকা-মাওয়া হাইওয়ে এক্সপ্রেসে অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে লাগানো বড় বড় বিলবোর্ড আর ব্যানার মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে মাওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে বড় বড় বিলবোর্ড বাতাসে ভেঙে পড়েছে। কোথাও কোথায় বিপদজনক ভাবে রাস্তায় চলে এসেছে লোহা ও কাঠ দিয়ে বানানো ব্যনার-বিলবোর্ড। চলাচলের সময় গাড়ির সামান্য বাতাসেই বিলবোর্ডের কাপড় উড়তে থাকে। পথচারী ও চালকরা বলছেন ব্যানার বা বিলবোর্ডের কাপড় উড়ে গ্লাসে এসে পড়লেই ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। তাছাড়া বিলবোর্ডের বেকে যাওয়া লোহায় লেগে উল্টে যেতে পারে গাড়িসহ যে কোন যানবাহন।
শরিয়তপুরের জাজিরার বাসিন্দা আইয়ুব আলী বলেন, আমাদের দীর্ঘ দিনের চাওয়া পূরণ হয়েছে। নির্বিঘ্নে কম সময়ে বাড়িতে যেতে পারছি। তবে বিলবোর্ড-ব্যানার দেখে ভয় লাগছে। ব্যানারের লোহা-কাঠ সামান্যের জন্য গাড়িতে লাগছে না। আমরা দ্রুত এর অপসারণ চাই।
এই প্রতিবেদক বাইক থামিয়ে বিলবোর্ডের ছবি তুলতে গেলে কিছু লোক তেড়ে আসেন। তবে ছবি তোলার কারণ জানতে পেরে এনিয়ে গণসচেতনতা বাড়ানোর কথা বলেন।
এ ব্যাপারে হাসাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবজাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, অনেক লোক ‘৯৯৯’ এ কল দিয়ে পুলিশকে ব্যাপারটি জানাচ্ছে। ইতোমধ্যে পুলিশ বহু বিপদজনক বিলবোর্ড অপসারণ করেছে, এখনো করছে। আসা করছি সোমবার (২৭ জুন) নাগাদ এসব অপসারণ সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৬ ঘণ্টা, ২৬ জুন, ২০২২
এমএমজেড