নরসিংদী: নরসিংদীর পলাশে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে হাদিউল মিয়া (২৫) নামে এক যুবকের দুই হাতের কব্জি কেটে দিয়েছেন তারই আপন চাচি ও ফুফা।
মঙ্গলবার (২৮ জুন) ভোরে উপজেলার নোয়াকান্দা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত হাদিউলের পরিবার ও জেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, কিছুদিন আগে পারিবারিক কলহের জেরে হাদিউলের সঙ্গে তার চাচি বৃষ্টির কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে হাদিউল তার চাচিকে মারধর করেন। এতে তার চাচি বেশ কিছুদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এদিকে হাদিউল কিছুদিন থেকে চাকরির খোঁজ করছিলেন। কথা কাটাকাটির আগে হাদিউল তার চাচির বোন জামাই জালাল মিয়ার কাছে চাকরির জন্য খোঁজ করছিলেন। সোমবার সন্ধ্যায় জালাল তাকে চাকরির কথা বলে নিজ বাড়ি পলাশের নোয়াকান্দা গ্রামে নিয়ে যান। সেখানে হাদিউল রাত্রিযাপন করেন। পরে ভোর ৪টার দিকে হাদিউলকে তার ফুফা (জালাল) পার্শ্ববর্তী একটা ঝোপে নিয়ে যান। সেখানে তার হাত, পা ও মুখ বেঁধে দুই হাতের কবজি কেটে দেন। পরে হাদিউলের চিৎকার শুনে এলাকার লোকজন তাকে উদ্ধার করে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন চিকিৎসক।
পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, আহতকে উদ্ধার করে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে এ বিষয়ে থানায় এখনো কেউ মামলা করেনি। মামলা হলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২২
আরএ