ফরিদপুর: কেউ ভদ্রবেশী যাত্রী আবার কেউবা হকার। কিন্তু তারাই কৌশলে মানুষকে আচার বা মুখরোচক খাবার খাইয়ে অজ্ঞান করছেন।
মঙ্গলবার (২৮ জুন) দুপুরে র্যাব-৮ এর ফরিদপুর ক্যাম্প অফিসে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান পুলিশ সুপার মো. শফিকুল ইসলাম।
এর আগে এদিন সকালে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ ঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি হোটেল থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটকদের মধ্যে চারজন খুলনা জেলার এবং একজন জামালপুর জেলার বাসিন্দা। তারা হলেন- খুলনা জেলার ডুমুরিয়া থানা এলাকার রাজাপুর গ্রামের আমজাদ গাজীর দুই ছেলে রিপন গাজী (৩০) ও মো. লিটন গাজী (২৮), খালিশপুর থানা এলাকার খালিশপুর গ্রামের মৃত মফিজ খা'র ছেলে মো. মাসুদ খা (৪০), দাকোপ থানা এলাকার মো. মুক্তার মীরের ছেলে মো. আলমগীর হোন (২৮) এবং জামালপুর জেলার শরিষাবাড়ী থানা এলাকার পিগনা গ্রামের আব্দুল মান্নান মণ্ডলের ছেলে মো. কিরা মিয়া (৩৮)। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের অজ্ঞান করার সামগ্রী জব্দ করা হয়।
পুলিশ সুপার শফিকুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী বাসে চলাচলরত যাত্রীসহ গরু ব্যবসায়ীদের অজ্ঞান করে সর্বস্ব লুট করত চক্রটি। তারা ভালো সম্পর্ক তৈরি করে বিষাক্ত খাবার এবং ওষুধ খাইয়ে অজ্ঞান করে মূল্যবান সম্পদ বা টাকা হাতিয়ে নিতো। মূলত ঈদ-উল আযাহাকে কেন্দ্র করে চক্রটি সক্রিয় হয়ে ওঠে।
তিনি আরও বলেন, চক্রের সদস্যরা একসঙ্গে চার-পাঁচজন মিলে গাড়িতে উঠতো। তাদের মধ্যে একজন হকার এবং একজন যাত্রী সেজে থাকতেন। এর পর যাত্রী সেজে থাকা ব্যক্তি ঐ হকারের কাছ থেকে আচার বা অন্যকিছু কিনে খান। সেইসঙ্গে পাশে থাকা অন্য যাত্রীকে খেতে উৎসাহ করেন। এ সময় পাশের সিটের যাত্রী খাবার নিয়ে খাওয়ার পরেই অজ্ঞান হয়ে যেতেন। আর তখনই সব কিছু হাতিয়ে নিতেন পাশে থাকা যাত্রীবেশী চক্রের সদস্যরা।
চক্রটি গোয়ালন্দ থেকে উত্তরবঙ্গে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিল। আর উত্তরবঙ্গ থেকে গরু নিয়ে যাতায়াত করা গাড়িগুলোই তাদের প্রধান টার্গেট ছিল বলেও জানান পুলিশ সুপার।
র্যাব জানায়, উদ্ধার করা মালামালসহ আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দঘাট থানায় সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২২
এফআর