দিনাজপুর: কোরবানি ঈদের আর মাত্র চারদিন বাকি। ঈদকে ঘিরে পশু বিক্রি নিয়ে ব্যস্ততম সময় পার করছেন খামারিরা।
মহারাজার দৈর্ঘ্য প্রায় ১০ ফুট আর উচ্চতা প্রায় ছয় ফুট। তাকে খাবার দেওয়া থেকে শুরু করে গোসল করানোসহ বিভিন্ন পরিচর্যার জন্য দুইজন কর্মচারী নিয়োজিত থাকেন।
পরিচর্যাকারী নিতাই রায় বাংলানিউজকে বলেন, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মহারাজাকে পাঁচবার খাবার দেওয়া হয়। খড়কুটো, বেশন, ব্রান, খৈলসহ কয়েক ধরনের গো-খাদ্য খাওয়ানো হয়। দিনে চার থেকে পাঁচবার গোসল করাতে হয়। মশার কামড় থেকে রক্ষার জন্য ওষুধ স্প্রে করতে হয়।
খামারি আপেল আহম্মেদ বলেন, প্রায় পাঁচ বছর ধরে ফ্রিজিয়ান জাতের আড়িয়া গরুটিকে পালন করছি। গত ঈদে মহারাজার ওজন ছিল ৩২ মণ। সেবার স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ছয় লাখ টাকা পর্যন্ত দাম বলেছিল। করোনার কারণে অনলাইনে গরু বিক্রি হচ্ছিল বেশি। আর মহারাজাকে ঢাকায় বিক্রি করতে নিয়ে গিয়ে সুবিধা করতে না পারায় আবার ফেরত আনি। বর্তমানে গরুটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১০ ফুট আর উচ্চতা প্রায় ছয় ফুট হয়েছে। দাম ২২ লাখ টাকা চাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, মহারাজাকে কোনো প্রকার ক্যামিকেল ছাড়াই দেশীয় গোখাদ্য খাওয়ানো হয়। গরুটি দেখতে প্রতিদিনই অনেক লোকজন আসেন। আমার মনে হয় মহারাজাই জেলার সবচেয়ে বড় গরু।
বাংলাদেশ সময়: ১২১০ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০২২
এফআর