ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, ০২ জুলাই ২০২৪, ২৪ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

আম-কলা খাওয়া ‘রাজা’র দাম চাওয়া হচ্ছে ৫ লাখ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৮ ঘণ্টা, জুলাই ৮, ২০২২
আম-কলা খাওয়া ‘রাজা’র দাম চাওয়া হচ্ছে ৫ লাখ

বরিশাল: আম-কলা খাইয়ে বড় করা ষাঁড়ের নাম রেখেছেন ‘রাজা’। লালন-পালনের ব্যয়ভার সামলাতে না পেরে ষাঁড়টিকে এবার হাটে তুলেছেন তার মালিক বা অধিকারী।

বরিশাল নগরের শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত সেতুর নীচে অস্থায়ী পশুর হাটে সাদা রংয়ের এই ষাঁড়টি দৃষ্টিতে এসেছেন ক্রেতাদের।

কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ায় শুক্রবার (০৮ জুলাই) বিকেলে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত রাজাকে বিক্রি করেননি মালিক মো. শহিদুল ইসলাম। প্রায় ৬ ফুট লম্বা রাজার ওজন প্রায় ১৫ মণ। দাম চাওয়া হচ্ছে ৫ লাখ টাকা।

ভালো দামের আশায় বরিশালের বড় হাটে রাজাকে নিয়ে এসেছেন বলে জানিয়েছেন শহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, চাকুরির সুবাদে আমি বরিশালে থাকি। তবে আমার স্ত্রী ও সন্তানরা গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় থাকে। তারা এ গরুটাকে লালন-পালন করেছে। আমার সন্তানরা সখ করেই গরুটার নাম রেখেছে রাজা। আমরা সবাই সন্তানের মতো এটিকে ভালোবাসতাম। তাই আমরা যা খেয়েছি তাই ওকেও খেতে দিয়েছি। কিছুক্ষণ আগেও আম আর একহালি কলা খাওয়ানো হয়েছে।

রাজার মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে শহিদুল বলেন, এই গরুটার সঙ্গে আমার পরিবারের সবার অনেক স্মৃতি রয়েছে। ভদ্র মেজাজের গরু হওয়ায় ওর কাছে গেলেই আদর করে দিতে হবে, নয়তো গুতা দেবে।

শহিদুল আরও বলেন, গরুটি বিক্রি করতে হবে এটা চিন্তা করিনি। তবে লালন-পালনের খরচ সামলাতে না পেরেই এখন গরুটি বিক্রি করছি। সেই সঙ্গে টাকারও প্রয়োজন আছে পরিবারের।

তিনি বলেন, এত বড় গরুর ক্রেতা আমাদের ওইদিকটাতে কম। তাই বরিশালে নিয়া আসছি। এখন পর্যন্ত সবাই গরু দেখছে, দাম করেনি কেউ। ৫ লাখ দাম বললেই বিক্রি করে দেব গরুটি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৭ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০২২
এমএস/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।