জামালপুর: সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল আজহা উদযাপন করছেন জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলার ১৬ গ্রামের মানুষ।
শনিবার (৯ জুলাই) সকাল ৮টায় সরিষাবাড়ি পৌরসভার বলারদিয়ার মধ্যপাড়া মাস্টারবাড়ি সংলগ্ন জামে মসজিদ মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতি বছরই সরিষাবাড়ী পৌরসভার বলারদিয়ার এলাকার আজিম উদ্দিন মাস্টারবাড়ি জামে মসজিদ মাঠে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ১৫ থেকে ১৬ গ্রামের মানুষ ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার সকাল ৮টায় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। বলারদিয়ার জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আজিম উদ্দিন ইমামতি করেন।
ঈদের নামাজ পড়তে আসা ফজলু মিয়া বাংলানিউজকে জানান, ১৯৮৬ সালে মিশরের কায়রোতে প্রায় সব মুসলিম দেশের ওলামা-আলেম একত্র হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন—যে দেশেই আগে ঈদের চাঁদ দেখা যাক না কেন, তারা সৌদি আরবকে অবগত করবে। তারপর সব মুসলিম দেশেই একযোগে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। মূলত তখন থেকেই আমরা এখানে ঈদের নামাজ আদায় করে আসছি।
হারুন নামে আরেক এক মুসল্লি বাংলানিউজকে জানান, আন্তর্জাতিক চাঁদ দেখা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২০০৬ সাল থেকে প্রায় ১৫ থেকে ১৬টি গ্রামের কিছু লোক ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপন করে আসছেন।
ইসমাইল জানান, আমাদের ধর্মীয় বিষয়ে সব কিছুই যখন সৌদি আরবের অনুকরণ করা হয় ঈদ করলে দোষের কী। মাঝে মাঝে চাঁদের হেরফেরে ৪৮ ঘণ্টা পরেও ঈদ করে বাংলাদেশের মানুষ। প্রযুক্তির এই যুগে সকল খবর মুহূর্তের মধ্যেই পাওয়া যায়। তাই সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ বা অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠান করা দোষের কিছু নয়।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৬ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০২২
এসআইএস