ঢাকা, শনিবার, ২০ আশ্বিন ১৪৩১, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০১ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ঈদের প্রস্তুতি: কদর বেড়েছে কসাই ও আনুষাঙ্গিক জিনিসের 

মাছুম কামাল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪০ ঘণ্টা, জুলাই ৯, ২০২২
ঈদের প্রস্তুতি: কদর বেড়েছে কসাই ও আনুষাঙ্গিক জিনিসের 

ঢাকা: ঈদকে সামনে রেখে চাহিদা বেড়েছে কসাইয়ের। নিয়মিত কাজ করেন এমন কসাইয়ের পাশাপাশি অনিয়মিত বা ছুটা কসাইয়েরও চাহিদা বেড়েছে।

তেমনি বিক্রি বেড়েছে গো-খাদ্য, গরু বাঁধার রশি, গাছের গুড়ি, মুগুর এসবেরও।

শনিবার (৯ জুলাই) রাজধানীর তেজগাঁও, নিকেতন আবাসিক এলাকা ঘুরে ভ্রাম্যমাণ, অস্থায়ী কসাইয়ের দেখা পাওয়া গেছে। পেশায় কসাই না হলেও মূলত ঈদুল আযহার এই সময়ে কিছু অতিরিক্ত রোজগারের জন্য তারা কসাইয়ের কাজ করছেন বলে জানা গেছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে কসাইয়ের কাজ করার জন্য নিকেতন এসেছেন সাগর নামের মধ্যবয়স্ক একজন। কথা প্রসঙ্গে জানালেন, মূলত দিনমজুরের কাজ করেন ঢাকায়। যখন যে কাজ পান, সে কাজ করেন দৈনিক বা চুক্তি ভিত্তিতে। ঈদে বাড়ি যান নি। ফলে, এই ফাঁকে এখানে কাজের জন্য এসেছেন। দরদাম ঠিক করে কাজও জুটেছে কালকের  দিনে (ঈদের দিন)। বললেন, বিত্তবানদের কাজ পেলে বাড়তি টাকা পাওয়া যায়।

তিনি আরও জানান, নির্দিষ্ট মজুরির পাশাপাশি মিলবে কোরবানির গোশত। পরে, সেসব নিয়ে বাড়ির পথ ধরবেন।

ঈদুল আযহায় শুধু ঈদের দিনই নয়, ঈদের দ্বিতীয়, তৃতীয় দিনও অনেকেই কোরবানি দিয়ে থাকেন। ফলে, এ কয়দিন এমন ভ্রামমাণ বা অস্থায়ী কসাইয়ের দেখা পাওয়া যায়। কেউ-কেউ একাধিক জায়গায় কাজ করেন।

তেজগাঁও এলাকায় হাঁটতে গিয়ে দেখা হয়, এমন আরেকটি দলের সঙ্গে। বরিশালের ওই ৪ জনও কসাইয়ের কাজ খুঁজছিলেন। এর মধ্যে দু’জন কাজ ব্যবস্থা করেছেন। জানা গেল, ঈদে কসাইয়ের কাজের কদর থাকে। ঈদের দিনের জন্য গড়ে ৮০০-১০০০ টাকা মজুরি পাওয়া যায় এই কাজে।

নিকেতনের বাসিন্দা গোলাম সারোয়ার বাংলানিউজকে বলেন, ২ হাজার টাকায় দু’জন কসাই ঠিক করলাম। তারা জবাইয়ের পর পুরো গরু প্রস্তুত করে দেবে। ছেলে-মেয়েরা থাকে দেশের বাইরে। ফলে, কোরবানির কাজটা সহজ হয় কসাই থাকলে।

এদিকে, ঈদকে কেন্দ্র করে যেমন কসাইদের কদর বেড়েছে তেমনি বিক্রি বেড়েছে গো-খাদ্য, গরু বাঁধার রশি, গাছের গুড়ি, মুগুর এসবেরও।

নিকেতন বাজার গেইটে ঈদ উপলক্ষে গাছের গুড়ি বিক্রি করছেন রাশেদ নামের এক যুবক। কথা বললাম তার সঙ্গে। বললেন, গাছ থেকে তৈরি এসব গোলাকৃতির গুড়ি আকৃতিভেদে ১৫০-২০০ টাকায় বিক্রি করি। পোক্ত কাঠ জাতীয় গাছ হলে এরচেয়ে কিছুটা বাড়তি দাম নিই। এখন দৈনিক ১০-১২টা করে বিক্রি হয়। মূলত গোলাকৃতির এসব গুড়িতে রেখে মাংস, হাড় কাটতে সুবিধে হয়। ফলে কদর আছে।

ঈদের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। বিভিন্ন বাসা-বাড়ির গেটে ও গলির খাম্বায় কোরবানির জন্য কেনা পশুগুলো বেঁধে রেখেছেন অনেকে। ছোট শিশুরা আনন্দ নিয়ে সেগুলোকে খাওয়াচ্ছে। কেউ-কেউ ব্যস্ত আতশবাজি নিয়ে। দৌঁড়-ঝাপ, হৈ-হুল্লোড় মহল্লার অলিগলিতে। ফাঁকা হয়ে গেছে ঢাকা। নির্বিঘ্নে ঈদ উদযাপন করতে পারবেন এমনটিই প্রত্যাশা সবার।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, জুলাই ৯, ২০২২
এমকে/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।