বরগুনা: উপকূলীয় জেলা বরগুনার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রায় সব নদ-নদীর পানি আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পায়রা, বিষখালী, বলেশ্বর ও হরিণঘাটায় পানি বেশি উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে।
বরগুনার তালতলীতে তেঁতুলবাড়িয়া এলাকায় জোয়ারের তোড়ে বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে ৭টি গ্রাম। এতে জনগণের চলাচলে ভোগান্তি হচ্ছে। পানিতে ঘর ডুবে যাওয়ায় রান্না বন্ধ হয়ে গেছে কয়েকশ পরিবারের।
জোয়ারের পানিতে বরগুনার তালতলী উপজেলায় পায়রা নদীর অংশে তেঁতুলবাড়ী এলাকার বেড়িবাঁধের ১০০ মিটার এলাকা ভেঙে গেলে কমপক্ষে ৫০টি মাছের ঘের ও কয়েকশ বাড়ি প্লাবিত হয়েছে। জোয়ারের পানির তোড়ে একাধিক স্থাপনা ও বসত ঘর ভেসে যাওয়ার পাশাপাশি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আমনের বীজতলা নষ্ট হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। বেড়িবাঁধ এভাবে এই ভাঙা থাকলে দিনে-রাতে দুইবার পানিতে তলিয়ে থাকবে ৭ গ্রাম। তাই দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন এসব গ্রামের লোকজন।
এদিকে এলাকাবাসীকে ভাঙা বাঁধ দ্রুত সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছেন তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম সাদিক তানভীর।
বরগুনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের তথ্য বিভাগের হিসেব অনুযায়ী জেলায় বিভিন্ন স্থানে কমপক্ষে ৩০০টি প্রাকৃতিক খাল রয়েছে। এ জেলায় মোট ১৬০ বর্গ কিলোমিটার নদী রয়েছে যা জেলার মোট আয়তনের ২২ ভাগ।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবোর) পানি পরিমাপকারী মাহাতাব হোসেন বাংলানিউজকে জানান, বরগুনার নদীগুলোর পানি বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে প্লাবিত হয়েছে তীরবর্তী নিচু এলাকার বসতবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং চরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ ফসলি জমি। বুধবার (১৩ জুলাই) বিকেলে ৪টার দিকে বিষখালি নদীর পানি আরও ২ দশমিক ৯০ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এতে করে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল এবং চরাঞ্চল দ্রুত প্লাবিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০২২
এমএমজেড