রাজবাড়ী: গ্রামের বাসায় কোরবানির ঈদ উদযাপন শেষে আবারও সবাই ছুটছেন তাদের কর্মস্থলে। বেশিরভাগ মানুষই ফিরছেন ইট পাথরের শহর ঢাকায়।
বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) সকাল থেকেই ঢাকার সঙ্গে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার রাজবাড়ী জেলার দৌলতদিয়া ঘাটে দেখা যায় ঢাকামুখী যাত্রীদের ঢল। ফেরিতে যেন তিল ধারনেরও ঠাঁই নেই। তবে যাত্রীবাহী বাস ও ব্যক্তিগত যানবাহনের চাপ থাকলেও নেই কোনো ভোগান্তি।
দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌরুটে এদিনে ২২টি লঞ্চ এবং ১০টি ফেরি যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে চলাচল করেছে। কিন্ত চাপ থাকলেও যানবাহনের সেই চিরচেনা দীর্ঘ লাইন দেখা যায়নি। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পরে স্বাচ্ছন্দে দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌপথে পদ্মা নদী পারাপার হতে পারছেন যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা।
কুষ্টিয়া থেকে ঢাকাগামী সোহাগ মিয়া নামে এক যাত্রী বলেন, ঈদের আগের দিন কুষ্টিয়ায় গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলাম। তখনও দৌলতদিয়া ঘাটে কোনো যানযট পাইনি। আজ আবার ঢাকায় ফিরছি। ঘাটে এসেই ফেরিতে উঠতে পেরেছি।
মাগুরা থেকে ঢাকাগামী বাইক চালক সিরাজ মোল্লা জানান, দৌলতদিয়া ঘাটে আগে যেমন সিরিয়াল থকতো, এখন তা নেই। মানুষ সহজেই ঘাটে এসে ফেরিতে উঠতে পারছেন।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান বাংলানিউজকে জানান, দৌলতদিয়া ঘাটে কর্মস্থলে ফেরা মানুষের ভিড় রয়েছে। তবে ঢাকামুখী যানবাহনের কোনো সিরিয়াল নেই। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা যাত্রী ও যানবাহনগুলো ঘাটে এসে সরাসরি ফেরির দেখা পাচ্ছে। নদী পার হতে তাদের কোনো ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘাট এলাকায় কিছুটা চাপ বাড়তে পারে। যাত্রী ও যানবাহনের চাপ না থাকায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে বহরে থাকা ২০টি ফেরির মধ্যে ১০টি ফেরি চলাচল করছে। যানবাহন ও যাত্রীর চাপ বাড়লে বাকি ফেরিগুলোও চলবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০২২
এফআর