নারায়ণগঞ্জ : যশোর যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি বদিউজ্জামান ধনি হত্যাকাণ্ডের কারণ জানা গেছে। এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, নগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শামীম আহমেদ মানুয়ার নির্দেশেই ধনিকে হত্যা করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে জেলা পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার এ তথ্য জানান।
পুলিশ জানিয়েছে, ধনি হত্যাকাণ্ডের মামলায় এক নম্বর আসামি শহরের রেলরোড এলাকার ফরিদ মুন্সির ছেলে রায়হান (২৫) ও শংকরপুর এলাকার বাবু মীরের ছেলে ইছা মীরকে (২০) গ্রেফতার করা হয়েছে। হত্যায় ব্যবহৃত গাছি দা, চাইনিজ কুড়াল ও বার্মিজ চাকুও উদ্ধার করা হয়েছে। তারও আগে মামলার আরেক আসামিকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।
আসামিদের দেওয়া প্রাথমিক স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে এসপি প্রলয় কুমার জোয়ারদার জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল স্থানীয় বিএনপি নেতা শামীম আহমেদ মানুয়া ও বদিউজ্জামান ধনির মধ্যে। দ্বন্দ্বের জেরে মানুয়ার মেয়ের জামাই ইয়াসিন হত্যা মামলায় ধোনিকে আসামি করা হয়। মূলত বিএনপির রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ দ্বন্দ্বের জেরে পরিকল্পিতভাবে ধনিকে হত্যা করা হয়। মানুয়ার নির্দেশে তার ভাগ্নে রায়হান হত্যাকাণ্ডটি ঘটান।
মঙ্গলবার (১২ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের শংকরপুর চোপদারপাড়ায় নিজের বাড়ির সামনে যশোর জেলা যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি বদিউজ্জামান ধনিকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে সন্ত্রাসীরা। আহতাবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান তিনি।
বাংলাদেশ সময় : ২১১০ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০২২
এমআরপি/এমজে