সাতক্ষীরা: খোলপেটুয়া নদীর বাঁধ ভেঙে সাতক্ষীরার শ্যামনগরের বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের দুর্গাবাটিতে আরও পাঁচ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এনিয়ে মোট নয় গ্রামের সাড়ে তিন হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
ইতোমধ্যে প্লাবিত এলাকায় সুপেয় খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। পানি উঠেছে অনেকের বসত বাড়িতে। প্লাবিত হওয়ায় ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে গেছে টয়লেট, রান্না ঘরসহ অনেকের কাঁচা ঘরবাড়ি।
বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) রাত ১১টার দিকে প্রবল জোয়ারের চাপে পশ্চিম দুর্গাবাটির জীর্ণশীর্ণ বেড়িবাঁধ নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পর শুক্রবারও তা সংস্কার করা সম্ভব না হওয়ায় ক্রমান্বয়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে। সেই সঙ্গে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়ছেন উপকূলের মানুষ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দুর্গাবাটিতে খোলপেটুয়া নদীর বাঁধ ভেঙে পশ্চিম পোড়াকাটলা, পশ্চিম ও পূর্ব দুর্গাবাটি, আড়পাঙ্গাশিয়া, বুড়িগোয়ালিনী, কলবাড়ি, ভামিয়া, পূর্ব পোড়াকাটলা ও দাতিনাখালীর আংশিক প্লাবিত হয়েছে।
এদিকে, শুক্রবার (১৫ জুলাই) বিকেলে ভাঙনকবলিত বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করেছেন সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এস.এম আতাউল হক দোলন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) প্রকৌশলী মো. আবুল খায়ের।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আক্তার হোসেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক সাঈদ-উজ-জামান সাঈদ, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা তুষার মজুমদার, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. শাহিনুল ইসলাম, বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, শিগগিরই ভাঙনকবলিত বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু হবে। দুর্যোগ কবলিত মানুষের সুপেয় খাবার পানির সংকট নিরসনে দুর্গাবাটিতে রিভার্স অসমোসিস প্লান্ট চালু করা হবে। এছাড়া পানিবন্দি ৩ হাজার পরিবারকে জরুরি খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে।
নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবুল খায়ের জানান, পাউবো থেকে বস্তা, দঁড়ি, বাঁশ ও পেরেক সরবরাহ করা হয়েছে। ৫৫০ ফুট এলাকায় পাইলিংয়ের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তবে বর্তমানে ভরা কোটালের তীব্র জোয়ারের কারণে সেটি করা সম্ভব না হলেও দ্রুতই পাইলিংয়ের কাজ শুরু হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘণ্টা, জুন ১৫ জুলাই, ২০২২
এমএমজেড