বরিশাল: বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন নদীর পানি বিপৎসীমা ওপর দিয়েই প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়ছে।
শুক্রবারের চেয়ে শনিবার (১৭ জুলাই) কয়েকটি নদীর পানির উচ্চতা কমেছে, আবার কয়েকটি নদীর পানির উচ্চতা বেড়েছে। শনিবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) গেইজ রিডার কার্যালয়।
পাউবো সূত্রে জানা গেছে, কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শুক্রবার প্রবাহিত হয়েছিল বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে। শুক্রবার ভোলা খেয়াঘাট সংলগ্ন তেঁতুলিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও আজ তা বিপৎসীমা বরাবর প্রবাহিত হয়েছে।
এছাড়া দৌলতখানের সুরমা-মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৫৯ সেন্টিমিটার এবং তজুমদ্দিনের সুরমা-মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমা ৮২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শুক্রবারের চেয়ে ১০ ও ২৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত
হচ্ছে।
অপরদিকে ঝালকাঠির বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শুক্রবার এর থেকে তিন সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে এবং পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের বুড়িশ্বর/পায়রা নদীর পানি বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এছাড়া বরগুনায় বিষখালি নদীর পানি বিপৎসীমার ৪২ সেন্টিমিটার, পাথরঘাটায় বিষখালি নদীর পানি ৭৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পিরোজপুরে বলেশ্বর নদীর পানি শুক্রবার বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও শনিবার তা বিপৎসীমা বরাবর প্রবাহিত হয়েছে এবং উমেদপুরের কচা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বরিশালের উপ সহকারী প্রকৌশলী মো. মাসুম জানান, বর্ষা মৌসুমে বিভাগের মোট ২৩টি নদ-নদীর পানি প্রবাহ পর্যবেক্ষণ করা হয়। তবে বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ ১০টি নদীর পানি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে বিভাগের অনেক নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২২ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২২
এমএস/এমজেএফ