দিনাজপুর: বর্ষাকালের মাঝামাঝিতেও বৃষ্টির দেখা নেই উত্তরের জেলা দিনাজপুরে। একই সঙ্গে রোদের তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন।
সোমবার (১৮ জুলাই) রাত ১০টার দিকে জেলা সদর উপজেলার শেখপুরা ইউনিয়নের নুলাইবাড়ী কর্মকারপাড়ায় এ বিয়ের আয়োজন করা হয়। দিনগত রাত ২টা পর্যন্ত চলে এ বিয়ের কার্যক্রম।
ওই এলাকার বাসিন্দা রতন কুমার কর্মকার এ বিয়ের আয়োজন করেন। তিনি দিঘন এসসি উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন অবসরপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক।
নুলাইবাড়ী ছাড়াও এদিন সন্ধ্যার দিকে একই ইউনিয়নের দক্ষিণ নগর গ্রামেও এ বিয়ের আয়োজন করা হয়। এছাড়াও দিনগত ২টার পর একই ইউনিয়নের উত্তর গোপালপুরেও বিয়ের আয়োজন করা হয়।
এ বিয়েতে বর ইন্দ্রদেব হিসেবে আসনে বসেন প্রাণকৃষ্ণ। আর কনে কলাবতী হিসেবে আসনে বসেন প্রদীপ রায়। আর বিয়েতে বরের বাবা ছিলেন ললিত মোহন রায়। আর কন্যা দান করেন কনে বাবা রতন কুমার কর্মকার।
ইন্দ্রদেবের বিয়ের পুরোহিত ছিলেন পরিতোষ চক্রবর্তী। বিয়েতে আসা প্রায় পাঁচ শতাধিক অতিথিকে আপ্যায়ন করা হয়।
বিয়ে দেখতে আসা দেবাশীষ রায় বলেন, ছোট বেলায় বৃষ্টির জন্য ব্যাঙের বিয়ে দেখছি। কিন্তু ইন্দ্রদেবের বিয়ে আজকে প্রথম দেখলাম। এতদিন বড়দের কাছে শুনতাম। সোমবার এ বিয়েটা নিজেই দেখলাম।
এ বিয়ের আয়োজক রতন কুমার কর্মকার বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমানে দিনাজপুরসহ উত্তরাঞ্চলে অনাবৃষ্টি ও তীব্র রৌদের ফলে জমি ফেটে চৌচির হয়ে পড়েছে। জনজীবন একেবারে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ঠিকমতো কৃষকরা ধান লাগাতে পারছে, কোনোভাবেই ক্ষেতে কাজ করতে পারছে না। তাই আমরা বৃষ্টির জন্য বৃষ্টির দেবতা ইন্দ্রদেব ও কলাবতীর এ বিয়ের আয়োজন করেছি।
বিয়ের বিষয়ে পুরোহিত পরিতোষ চক্রবর্তী বলেন, আমাদের পূর্ব পুরুষদের আমল থেকে এ রীতি চলে আসছে। এ বিয়ে হলো ইন্দ্র রাজার বিয়ে। যখন কোথাও অনাবৃষ্টি দেখা দেয় তখন সেই এলাকায় ইন্দ্র রাজার বিয়ের আয়োজন করা হয়। আমরা সেই পূর্ব পুরুষদের রীতি ধরে রাখছি।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪০ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০২২
এসআরএস