ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ আশ্বিন ১৪৩১, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ‘এপিও’ পরিচয়ে প্রতারণা, যুবক গ্রেফতার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০২২
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ‘এপিও’ পরিচয়ে প্রতারণা, যুবক গ্রেফতার মো. রাসেল মিয়া

ঢাকা : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অ্যাডিশনাল পার্সোনাল অফিসার (এপিও) পরিচয় দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে মো. রাসেল মিয়া নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ।

গ্রেফতারের সময় রাসেলের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন-সিম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এপিও পরিচয়ধারী ১৬টি ভিজিটিং কার্ড ও একটি সিল জব্দ করা হয়।

মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গ্রেফতার রাসেল রংপুরের পীরগঞ্জের বাসিন্দা। তিনি মো. রাজ বিন রাসেল তালুকদার নামে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ একাধিক মন্ত্রী ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যবহার করে প্রতারণা করে আসছিলেন। নিজেকে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এপিও পরিচয় দিতেন। ভিজিটিং কার্ড তৈরি করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় চাকরির প্রলোভন, বিভিন্ন রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান, পুলিশে লোক নিয়োগ, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, বদলি, এলাকার মামলা নিষ্পত্তি সংক্রান্তে তদবির করে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেন।

মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, সোমবার (১৮ জুলাই) তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় একটি প্রতারণার মামলা দায়ের করেন এক ভুক্তভোগী। মামলার তদন্তকালে উন্নত প্রযুক্তির সহায়তায় রাসেলের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। এরপর রংপুর জেলার কোতোয়ালী থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে রাসেলকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম।

প্রতারণার অংশ হিসেবে রাসেল ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের পার্টি অফিসে যাতায়াত করতেন। যে কারণে তার সঙ্গে দলটির বিভিন্ন নেতাকর্মীর সঙ্গে সখ্যতা গড়ে ওঠে। তাদের সঙ্গে ছবি তুলে ফেসবুকে শেয়ার করতেন। এসবের মাধ্যমেই নিজেকে নিজের ও রংপুর জেলার একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসাবে সমাজে তুলে ধরেছিলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এপিও পরিচয় তৈরি ভিজিটিং কার্ড বিতরণ করে নিজেকে জাহির করা চেষ্টা করতেন রাসেল।

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ আরও বলেন, ভিআইপিদের সাথে ছবি থাকলেই কারও সঙ্গে সম্পর্ক বা লেনদেন করা যাবে না। এ ধরনের প্রতারণা এড়াতে গোয়েন্দা-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের কিছু পরামর্শ রয়েছে। জনগণের প্রতি এসব পরামর্শ মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।

গোয়েন্দা-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের পরামর্শগুলো হলো- মন্ত্রী, এমপি ও সমাজের বিশিষ্টজনদের ঘনিষ্ঠ পরিচয়ে কারও সঙ্গে লেনদেন থেকে বিরত থাকা এবং মন্ত্রী, এমপি ও সমাজের বিশিষ্টজনদের সঙ্গে অপরিচিত বা স্বল্প পরিচিত কারও সঙ্গে ছবি তোলার ব্যাপারে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০২২
এসজেএ/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।