পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায় ‘স্যার’ না ডেকে ভাই বলে সম্বোধন করায় এক রোগী ও তার স্বজনদের লাঞ্ছিত করেছেন এক চিকিৎসক।
রোববার (১ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার মেডিকেয়ার ডায়াগনস্টিক ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সমালোচনার ঝড় বইছে।
জানা যায়, পার্শ্ববর্তী উপজেলা বাউফলের কাছিপাড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা ইয়াসমিন বাহার দুদিন আগে মেয়ের শ্বশুর বাড়ি দুমকিতে বেড়াতে আসেন। হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পরলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান চিকিৎসা নিতে। দায়িত্বরত চিকিৎসক তাঁকে আলট্রাসনোগ্রাম করতে বললে, তাৎক্ষণিক উপজেলার মেডিকেয়ার ডায়াগনস্টিক ক্লিনিকে যান।
রিসিপশনে গেলে ডাক্তার নেই বলে তাকে কিছুক্ষণ বসতে বলেন। আধা ঘণ্টা পরে রিসিপশনে কাউকে দেখতে না পেয়ে ডাক্তারের রুমের সামনে দাঁড়িয়ে দুইবার ভাই বলে ডাক দিয়ে ডাক্তার আসছে কি-না জিজ্ঞেস করায় ডাক্তার মো. নাসির উদ্দীন তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠেন।
এসময় তিনি রোগীকে বলেন, তোর সাহস কিভাবে হলো একজন ডাক্তারকে 'স্যার' না বলে ভাই বলে ডাকার। এরপর অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং ঘাড় ধরে ক্লিনিক থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন।
অভিযুক্ত চিকিৎসক নাসির উদ্দীন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক। অবসর সময়ে তিনি বাইরে চেম্বার করেন।
পরে ইয়াসমিন বাহার ক্লিনিক থেকে কান্না করতে করতে বেড়িয়ে আসেন এবং থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত চিকিৎসক নাসির বলেন, এ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা; উল্টো সে আমাকে অনেক গালাগাল দিয়েছে। আমি এখানকার ডাক্তারও না, আমি পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাক্তার অবসর সময়ে মাঝেমধ্যে এখানে চেম্বার করি। তাছাড়া উনি আমার রোগীও না তাকে শুধু আমি বলেছি আমাকে কিছু না বলে আপনি রিসিপশনে গিয়ে কথা বলুন।
দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুস সালাম বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি এবং ভুক্তভোগী থানায় একটি অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ০২, ২০২২
আরএ