নওগাঁ: বর্তমান সময়ে প্রায় সব নিত্যপন্যের আগুন মূল্য চলছে। সেই সঙ্গে দাম বৃদ্ধি পাওয়ার তালিকায় নতুন করে যুক্ত হলো সার।
হঠাৎ করে সারের দাম বৃদ্ধি যেনো মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সার- ডিজেলের দাম বৃদ্ধিতে উৎপাদন খরচ দাঁড়াবে প্রায় দ্বিগুন। আবার দাম দিয়েও মিলছে না চাহিদা মাফিক সার এমনটাও দাবি করছেন অনেকে। তাই ফসল উৎপাদনে লাভের হিসেবে খুব বেশি আশাবাদী হতে পারছেন না চাষিরা।
মহাদেবপুর উপজেলার মাজেদুল ইসলাম, শখের আলী, ইয়াকুব হোসেনসহ বেশ কয়েকজন কৃষক বাংলানিউজকে জানান, বাজারের প্রায় সব পণ্যের মূল্য উর্ধগতি। এর মধ্যে এই বছর আবার সেচ পাম্প ব্যবহার করে চাষ করতে হচ্ছে। ফলে তেল ও বিদ্যুৎ খরচ লাগছে অনেক বেশি। এবারে সারের দামও বেড়ে গেল। এভাবে যদি সব কিছুর দাম বাড়তে থাকে তাহলে কৃষকরা চাষ করা বাদ দিয়ে দেবে। কারণ সব কিছুর দাম বাড়লেও আর ধানের দাম বাড়ে না। এই আবাদে যে পরিমাণ খরচ হচ্ছে, তারপরেও যদি ধানের দাম বেশি না পাওয়া যায় তাহলে অনেক কৃষক ঋণে জর্জরিত হয়ে যাবেন।
এদিকে এ বছর ধানের উৎপাদন খরচ বাড়বে বলছে কৃষি বিভাগ। নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক মনজুরে মাওলা বাংলানিউজকে জানান, এ মৌসুমে তুলনামূলক কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। ফলে গভীর নলকূপের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে কৃষকদের। এতে করে তাদের সেঁচ খরচটা অতিরিক্ত লাগছে।
বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রেজাউল করিম বলেন, চাহিদা মাফিক সার পাওয়া যাচ্ছে না। যোগাযোগ ব্যবস্থার অযুহাতে সময় মতো সার দিচ্ছে না বিএডিসি। কিছু সারের ঘাটতি রয়েছে। তবে আশা করছি এটি খুব দ্রুত সমাধান হবে।
তিনি আরও জানান, গত জুলাই মাসে ছয় হাজার ৩২৭ মেট্রিকটন বরাদ্দের বিপরিতে ইউরিয়া সার মিলছে চার হাজার মেট্রিক টন। আর গেলো জুন এবং জুলাই মাসে এমওপির ঘাটতি রয়েছে দুই হাজার ৫০০ মেট্রিক টন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০২২
এফআর