ঢাকা, রবিবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

উচ্চশব্দে গান বাজাতে নিষেধ করায় খুনের ঘটনায় ৫ জন গ্রেফতার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ৩, ২০২২
উচ্চশব্দে গান বাজাতে নিষেধ করায় খুনের ঘটনায় ৫ জন গ্রেফতার

রাজশাহী: রাজশাহীতে উচ্চশব্দে সাউন্ড বক্সে গান বাজাতে নিষেধের জেরে প্রতিবেশীর চাকুর আঘাতে এক ব্যক্তি খুনের ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে শাহ মখদুম (রহ.) থানা পুলিশ।  

মঙ্গলবার (২ আগস্ট) রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

এরপর বুধবার (৩ আগস্ট) দুপুরে তাদের গ্রেফতারের তথ্য নিশ্চিত করে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন- মহানগরীর শাহ মখদুম থানার হরিষার ডাইং এলাকার বকুল আলীর মেয়ে খাদিজা (১৯) ও একই এলাকার আসাদ আলীর ছেলে মিঠন আলী (৩০), বাদশা মিয়ার ছেলে মোমিন (২৫), জান মোহাম্মাদের ছেলে সোহেল (৩২) ও কর্ণহার থানার মোল্লা ডাইং এলাকার মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে পলাশ (৪০)।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) রফিকুল আলম জানান, মহানগরীর শাহ মখদুম থানার হরিষার ডাইং এলাকায় বকুলের ছেলে নাহিদ গত ১ আগস্ট রাত সাড়ে ৯টার দিকে উচ্চশব্দে সাউন্ড বক্সে গান শুনছিলেন। এ সময় তার প্রতিবেশী মুকুল আলীর মেয়ে অন্তস্বত্তা এবং অসুস্থ হওয়ায় তিনি নাহিদের বাড়িতে গিয়ে উচ্চশব্দে গান বাজাতে নিষেধ করেন। নাহিদ তাৎক্ষণিকভাবে সাউন্ড বক্সের শব্দ কমিয়ে দিলেও মুকুল সেখান থেকে চলে আসলে আবারও বাড়িয়ে দেন।

মুকুল আলী আবারও নাহিদের বাড়িতে গিয়ে উচ্চশব্দে গান বাজাতে নিষেধ করলে আসামি নাহিদ ও তার বাবা বকুল আলী, মা ও তার বোন মিলে মুকুলকে গালিগালাজ করে এবং তাদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে নাহিদ ও তার পরিবারের সদস্যরা লোহার রড দিয়ে মুকুলের মাথায় আঘাত করে। সেইসঙ্গে চাকু দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করা হয়। এ সময় মুকুলের চিৎকার শুনে তার ছোট ছেলে শাহীন আলম ও জামাতা আলমগীর সেখানে গেলে তাদেরকেও মারপিট ও চাকু দিয়ে আঘাত করা হয়।

মকুলের ছেলে শামিম ইসলাম আরও জানান, ঘটনাস্থলে স্থানীয় লোকজন মুকুলকে উদ্ধারে এগিয়ে গেলে আসামিরা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে গুরুতর আহতবস্থায় মুকুলকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২ আগস্ট দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে মৃত্যু হয় তার।  

এ ঘটনায় নিহত মুকুলের ছেলে শামিম ইসলাম বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেন।

মামলার পর আরএমপির শাহ মখদুম জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়। তাদের অবস্থান শনাক্তের পর গ্রেফতার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান- আরএমপির এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০২২
এসএস/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।