ফরিদপুর: ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় দুই সহোদরকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন।
শনিবার (৬ আগস্ট) দুপুরে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ সাদিক বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শুক্রবার (৫ আগস্ট) দিনগত রাত ৮টার দিকে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের সিংহপ্রতাব গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- উপজেলার সিংহপ্রতাপ গ্রামের দেলোয়ার শিকদার (৫০) ও জিয়া শিকদার (৩৫)। বর্তমানে তারা ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আহত দেলোয়ার শিকদার অভিযোগ করে বলেন, প্রতিপক্ষের জব্বার খালাসী, সুজাদ খালাসী ও কাসেম খালাসী দীর্ঘদিন ধরে আমার কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিল। তারা সবাই সাবেক ইউপি সদস্য ইব্রাহিম মোল্যার সমর্থক। আমি টাকা দিতে রাজি না হলে আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয় ওরা। শুক্রবার রাতে হঠাৎ এসে তারা আমাকে পাঁচ হাজার টাকা দিতে বলে। দাবিকৃত টাকা না দেওয়ায় তারা লোকজন নিয়ে এসে আমাদের দুই ভাইয়ের ওপর হামলা চালায়। তারা আমাকে রামদা দিয়ে পায়ে কোপ দেয় ও আমার ভাই জিয়াকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হাত ভেঙে দেয়।
তিনি আরও বলেন, শুধু আমাদের কুপিয়ে আর পিটিয়ে আহত করে ক্ষ্যন্ত হয়নি তারা। আমাদের ওপর হামলার পর তারা আমাদের বাড়ির চারপাশ ঘিরে রাখে। আমাদের হাসপাতালেও নিতে দেয় না। পরে ওসি স্যার এসে আমাদের উদ্ধার করে তার পকেটের টাকা দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স ঠিক করে হাসপাতালে পাঠায়।
তবে দেলোয়ারের অভিযোগ অস্বীকার করে সাবেক ইউপি সদস্য মো. ইব্রাহিম মোল্যা বলেন, কেউ কারো কাছে চাঁদা দাবি করেনি। এটা কোনো পরিকল্পিত ঘটনাও নয়। পাওনা টাকা চাওয়ার জেরে ঝামেলা হয়েছে। জব্বার খালাসী দেলোয়ারের ছেলে সাকিলের কাছে পাঁচ হাজার টাকা পাবে। সেই টাকা কয়েকবার চাইলেও ফেরত দেয় না সে। পরে বিষয়টি নিয়ে সালিশ হলে মাত্র এক হাজার টাকা ফেরত দেয়। বাকি টাকা নিয়ে ঘোরাঘুরি করতেছিল। শুক্রবার রাতে ওই টাকা চাওয়া নিয়ে জব্বার আর সাকিলের মধ্যে কথা কাটাকাটি হলে দুই পরিবারের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে দেলোয়ার আর জিয়া আহত হয়।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ সাদিক বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেই। পাশাপাশি আহতদের উদ্ধার করে গাড়ি ঠিক করে হাসপাতালে পাঠাই। এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৭ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০২২
আরএ