গোপালগঞ্জ: জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে গোপালগঞ্জে হাট বাজারসহ বিভিন্ন সেক্টরে প্রভাব পড়েছে। ইতোমধ্যে ঢাকাগামী বিভিন্ন পরিবহনের টিকিটের মূল্য ৫০ টাকা করে বেশি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাতে হঠাৎ করেই বৃদ্ধি করা হয় জ্বালানি তেলের দাম। এ খবর শুনে যানবহনের মালিক ও মটরসাইকেল চালকরা ভিড় জমান জেলার বিভিন্ন ফিলিং স্টেশনগুলোতে। আর রাত ১২টার পরে বেশি দামে তেল বিক্রির আশায় তখন তেল দেওয়া বন্ধ করে দেন ফিলিং স্টেশন মালিকরা।
গোপালগঞ্জ শহরের রাজিব আহম্মেদ বলেন, পেট্রোল-অকটেনসহ জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করা হবে এমন খবর শুনে রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের বিভিন্ন ফিলিং স্টেশনে বাইকের জন্য অকটেন সংগ্রহ করতে যাই। কিন্তু তার আগেই স্টেশন মালিক ও কর্মচারীরা পাম্প বন্ধ করে চলে যান। সকালে আমাকে বেশি দামে তেল কিনতে হয়েছে। তাতে করে শুধু মজুদদাররা লাভ করেছে। বিপদে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
এছাড়া ভোক্তভোগী অনেকেই জানান, হুট করে এমন সিদ্ধান্ত দেওয়া ঠিক হয়নি। জ্বালানি তেলের নতুন দাম কার্যকর করায় নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দামও বেড়ে গেছে। এতে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার ও কর্মচারীরা জানান, সরকার হঠাৎ করে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করায় বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়েছে। অনেকেই ক্ষোভ থেকে ঝগড়া বিবাদে জড়িয়ে পড়ছেন। অনেকে আবার তেল না নিয়েই চলে যাচ্ছেন। বর্তমানে আমরা সরকার নির্ধারিত মূল্যে তেল বিক্রি করছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিভিন্ন পরিবহনের কাউন্টার স্টাফরা বলেছেন, তেলের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় মালিকদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরিবহনের যাত্রী প্রতি ভাড়া ৫০ টাকা করে বৃদ্ধি করা হয়েছে। পরবর্তিতে সরকার ভাড়া নির্ধারণ করলে সেটাই নেওয়া হবে।
গোপালগঞ্জ পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামিল সরোয়ার বাংলানিউজকে বলেন, আমরা যাত্রীদের কাছ থেকে আগের ভাড়াই নিচ্ছি। তবে জ্বালানির দাম বৃদ্ধি করায় পরিবহন খরচ বেড়েছে। সরকার যেই ভাড়া নির্ধারণ করবে, আমরা যাত্রীর কাছ থেকে সেই হারে ভাড়া নেবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০২২
এফআর