কুমিল্লা: কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দেশের সব মানুষেরই কষ্ট হচ্ছে। হয়তো মানুষ ভাবে গুলশান বনানীর মানুষের আবার কি কষ্ট।
তিনি বলেন, সরিষার আমাদের প্রধান তেল জাতীয় ফসল ছিল। আগে এই সরিষার তেলই মানুষ খেত। তখন আমরা পাম অয়েল, সয়াবিন চিনতাম না। বর্তমানে আমরা ৯০ ভাগ ভোজ্যতেল বিদেশ থেকে আমদানি করি। প্রতি বছর যেখানে আমরা দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি ভোজ্য তেলে খরচ করি। আমরা কর্মসূচি নিয়েছি আগামী ৩ বছরের মধ্যে তেল জাতীয় ফসলের নির্ভরশীলতা ৫০ শতাংশে নামিয়ে আনবো।
তিনি আরও বলেন, কুমিল্লাসহ সারাদেশে ফসল উৎপাদন বাড়ছে। আমরা আন্তর্জাতিক বাজারে শাক-সবজি রপ্তানি করার ব্যবস্থা করছি। যা আমাদের অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করবে।
রোববার (৭ আগস্ট) কুমিল্লা শিল্পকলা একাডেমিতে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় সিলেট, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং রাঙ্গামাটি অঞ্চলের বিদ্যমান শস্য বিন্যাসে তেল জাতীয় ফসলের অর্ন্তভুক্তি এবং ধান ফসলের অধিক ফলনশীল জাতসমূহের উৎপাদন বৃদ্ধি শীর্ষক কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন মন্ত্রী।
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে মন্ত্রী বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে কৃষিতে অবশ্যই প্রভাব পড়বে। চাষিরা কষ্ট করে হলেও চাষ করবেন। লাভ কম হলেও তারা চাষ করবেন। কারণ খরচ বেড়ে যাবে। তাই লাভ কম হলেও উৎপাদন কমবে না। এদেশের কৃষকরা এত ত্যাগী, তারা বউয়ের গলার হার, কানের দুল বিক্রি করেও চাষাবাদ করেন। তারা গরু, ছাগল বিক্রি করে সার কিনে ফসল উৎপাদন করেন।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র আরফানুল হক রিফাত।
মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান এ এফ এম হায়াতুল্লাহ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. বেনজির আলম, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক (সরেজমিন উইং) হাবিবুর রহমান চৌধুরী, কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান, কুমিলার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সিলেট, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং রাঙ্গামাটি অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০২২
আরএ