খাগড়াছড়ি : খাগড়াছড়ির খবংপড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গেট পড়ে নিহত শিশু শ্রাবণ দেওয়ানের (৬) পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সভাপতি ওয়াদুদ ভূঁইয়া।
শুক্রবার (১২ আগস্ট) সকালে দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে তিনি শহরের নারানখাইয়া এলাকায় শ্রাবণের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন।
এ সময় স্কুল কর্তৃপক্ষের মারাত্মক গাফিলতির কারণে প্রাক শিক্ষার্থী শ্রাবণ দেওয়ান নিহত হয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।
শ্রাবণের মৃত্যু নিছক দুর্ঘটনা নয় উল্লেখ করে সাবেক এ সংসদ সদস্য বলেন, এটি হত্যাকাণ্ড। কারণ, সদর উপজেলা এলজিইডির অর্থ বরাদ্দে বিদ্যালয়ের বাউন্ডারি ও গেটটি ঠিকাদার ৬ মাস আগে নির্মাণ কাজ শেষ করে। কিন্তু গেটটি ছিল নড়বড়ে। তাই গাছের খুঁটি দিয়ে আটকে রাখা হয়। স্কুলের অভিভাবকদের আপত্তির মুখেও কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
তিনি বলেন, এখানে স্কুল নির্মাণ কর্তৃপক্ষ এলজিইডি, ঠিকাদার ও স্কুল কর্তৃপক্ষের চরম গাফিলতি ছিল। কাজেই এটাকে হত্যাকাণ্ড হিসেবে বিবেচনা করে দায়ীদের বিচার দাবী যৌক্তিক।
এর আগে গত বুধবার (১০ আগস্ট) সকাল ৯টায় স্কুলের গেটে চাপা পড়ে মৃত্যু হয় শ্রাবণের। সে নারায়ণ খাইয়া পাড়ার প্রণয় দেওয়ান ও বাসনা চাকমার ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষার্থী শ্রাবণ দেওয়ান বুধবার সকাল ৯টার দিকে মায়ের সঙ্গে স্কুলে ঢোকার সময় হঠাৎ করে গেট ভেঙে তার গায়ের ওপর পড়ে। সেখান থেকে লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এলাকাবাসী এ ঘটনার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষকে দায়ী করে বিচার দাবি করেন।
সদর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) গোবিন্দ চন্দ্র রায় জানান, স্কুলের গেটি দীর্ঘদিন ধরে নড়বড়ে অবস্থায় ছিল। গেটটি গাছে খুঁটি দিয়ে আটকে রাখা হয়েছিল। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা না নেওয়ায় এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান বলেন, যদি কেউ অভিযোগ করে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময় : ১৭৪২ ঘণ্টা, ১২ আগস্ট, ২০২২
এডি/এমজে