জামালপুর: রাজধানী উত্তরায় বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের ক্রেন থেকে গার্ডার ছিটকে প্রাইভেটকারের ওপরে পড়ে একই পরিবারের পাঁচজন নিহতদের মধ্যে ঝর্না ও তার দুই সন্তান জান্নাত ও জাকারিয়ার জন্য কবর তৈরির কাজ সম্পন্ন করেছে এলাকাবাসী।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুল্যান্স জামালপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে।
এখন শুধু মরদেহের জন্য অপেক্ষা। একই পরিবারে পাঁচজনের মর্মান্তিক এ মৃত্যু ঘটনায় পুরো এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নিহত ঝর্না ও দুই সন্তান জান্নাত ও জাকারিয়া মরদেহ পয়লা গ্রামে ও ফাহিমাকে ইসলামপুর ঢেংগারগড়ে দাফন করা হবে।
জানা গেছে, শনিবার (১৩ আগস্ট) বিয়ে হয় হৃদয় এবং রিয়া মনির। সোমবার (১৫ আগস্ট) বৌভাত শেষে হৃদয়ের বাবা রুবেল মিয়া প্রাইভেটকার চালিয়ে আশুলিয়া খেজুর বাগান এলাকায় ছেলের শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছিলেন। সে সময় প্রাইভেটকারে ছিলেন হৃদয়, রিয়া, রিয়ার মা ফাহিমা (৩৭), তার খালা ঝর্না (২৮) এবং ঝর্নার দুই সন্তান জান্নাত (৬) ও জাকারিয়া (২)। পথে উত্তরা তিন নম্বর সেক্টরের প্যারাডাইস টাওয়ারের সামনে এলে বিআরটি প্রকল্পের ক্রেন থেকে গার্ডার ছিটকে প্রাইভেটকারে ওপর পড়ে। এতে চাপা পড়ে নবদম্পতি হৃদয় ও রিয়া ছাড়া সবাই নিহত হন। তবে গুরুতর আহত হয়েছেন নবদম্পতি।
হৃদয়ের স্ত্রী রিয়ার বাবার বাড়ি জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার ঢেংগারগড় এলাকায়। তবে তার পরিবার দু’বছর আগে সাভারের আশুলিয়ায় খেজুর বাগান এলাকায় এসে বসবাস শুরু করেন।
এ ঘটনায় সোমবার রাতেই নিহত ফাহিমা ও ঝর্নার ছোট ভাই আফরান মণ্ডল বাবু বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা করেছে। মামলা নং-৪২।
>> রুবেলের লাশ গেল মেহেরপুরে, বাকিদের জামালপুর
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২২
এসআরএস