ময়মনসিংহ: প্রায় ২৩ বছর আগে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার মাওহা এলাকার ঘোষখালী খালের ওপর নির্মিত হয় একটি সেতু। এ সেতুটির একটি স্লাব ও দুটি গার্ডারে ফাটল ধরেছে।
এ অবস্থায় যে কোনো সময় সেতুটি ভেঙে পড়ে প্রাণহানির আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
কথা হলে মো. মুক্তার উদ্দিনসহ অন্য স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এ সেতু দিয়ে গাড়ি চলাচল বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। তাই পায়ে হেঁটে চলাচল করেন স্থানীয়রা। তবে বিশেষ প্রয়োজনে ছোট কোনো যান সেতু দিয়ে চলাচল করলে যাত্রী নামিয়ে পার হতে হয়। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে হাজার হাজার মানুষকে।
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গেছে, এ সেতু দিয়ে প্রতিদিন নেত্রকোনা সদর ও পার্শ্ববর্তী কেন্দুয়া উপজেলারসহ গৌরীপুর উপজেলার হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করতেন। কিন্তু বর্তমানে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ভারী যানবাহন নিয়ে প্রায় দশ কিলোমিটার পথ ঘুরে যেতে হয় গন্তব্যে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রায় দু’বছর আগে এ সেতুটির একটি স্লাব ও দুটি গার্ডারে বড় আকারে ফাটল দেখা দিলেও বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো ভূমিকা নেই, দেওয়া হয়নি বিপজ্জনক সাইনবোর্ডও। এ অবস্থায় দ্রুত সেতুটি নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মাওহা ইউনিয়নের দ্বিতীয় গ্রামীণ সড়ক ও বাজার উন্নয়ন এবং রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্পের আওতায় ভূটিয়ারকোনা রামকৃষ্ণপুর সড়কে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে ১৯৯৯ সালের ১২ ডিসেম্বর বক্স কালভার্ট নামে এ সেতুটির কাজ শুরু হয়, শেষ হয় ২০০০ সালের ৫ এপ্রিল।
বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ২৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে সেতুটি। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৩০ মিটার, প্রস্থ ২ দশমিক ৬০ মিটার। আরসিসি এ বক্স কালভার্ট নির্মাণ করেন গৌরীপুরের মেসার্স পাঠান এন্টারপ্রাইজ নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
এ বিষয়ে গৌরীপুর উপজেলা প্রকৌশলী আবু সালেহ মো. ওয়াহেদুল হক বলেন, ওই সেতুটি পুনরায় নির্মাণে শিগগিরই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০২২
জেডএ