মেহেরপুর: জামাইয়ের হাত থেকে মেয়েকে রক্ষা করতে গিয়ে হাসুয়ার উপর্যুপরি কোপে নিহত হয়েছেন রঙ্গিলা খাতুন (৪৫) নামে এক নারী।
মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তার নিজ ঘরে হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে জামাতা বাদশা।
এর আগে নিহতের মেয়ে রিনি খাতুনকেও হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে আহত করা হয়। আহত রিনি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয়রা জানান, সকালে পারিবারিক কলহের জেরে মাঠপাড়া ঈদগাহ এলাকায় গাছের সঙ্গে রশি বেঁধে আত্মহত্যা করতে যান বাদশা। খবর পেয়ে শাশুড়ি রঙ্গিলা ও তার স্ত্রী রিনি খাতুন তাকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসেন। কেন তাকে বাড়ি নিয়ে আসা হয়েছে এমন কথা বলে আবারও শুরু হয় বাগবিতণ্ডা। একপর্যায়ে হাসুয়া দিয়ে স্ত্রী রিনি খাতুনকে কোপাতে থাকেন বাদশা। এসময় শাশুড়ি রঙ্গিলা তার মেয়েকে বাঁচাতে গেলে তাকে হাসুয়া দিয়ে গলায় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায় বাদশা।
স্থানীয়রা আরও জানান, বাদশার নামে, চুরি ডাকাতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি জেল থেকে জামিনে মুক্ত হয়েছেন।
বাদশা করমদি গ্রামের শাহবুর পাড়ার রবিউল ইসলামের ছেলে। তিনি শ্বশুরবাড়ি ঘর জামাই ছিলেন।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে নেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০২২
আরএ