ঢাকা: ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীর ১৪টি স্পটে বিআরটিএ'র ৯টি ভ্রাম্যমাণ আদালত বিভিন্ন অভিযোগে ৮৪টি মামলায় মোট ৩ লাখ ৪৪ হাজার ৪০০ টাকা জরিমানা আদায় করেছেন।
বিআরটিএ'র এসব অভিযান স্বত্বেও রাজধানীর সড়কে ফেরেনি শৃঙ্খলা।
বৃহস্পতিবার ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে এ অভিযান চালানো হয়।
বিআরটিএ সূত্র জানায়, এ সময় অতিরিক্ত ভাড়া আদায় এবং রুট ভায়োলেশন, রুট পারমিট না থাকা,হাইড্রোলিক হর্ন,ফিটনেস না থাকা,ওয়েবিল ও অন্যান্য অপরাধের দায়ে ৮৪টি বাসের বিপরীতে মোট ৮৪ মামলায় প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এছাড়া রুট পারমিট না থাকায় একটি গাড়িকে ডাম্পিং স্টেশনে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে বিআরটিএ।
বাড়তি ভাড়া আদায় নিয়ে বাগবিতণ্ডা হচ্ছে যাত্রীদের সঙ্গে। বিকাশ পরিবহনের যাত্রী শাহরিয়ার হোসেন নিকুঞ্জ এলাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।
তিনি বলেন, প্রতিদিন রাসেল স্কয়ার থেকে নিকুঞ্জে যেতে হয় বিকাশ পরিবহন অথবা ভি. আই. পি পরিবহন দিয়ে। কিন্তু এ রুটে ভিআইপি পরিবহনে ৩৫ টাকা হলেও ৪৫ টাকা ভাড়া নেয় বিকাশ পরিবহন। চার্ট অনুযায়ী ভাড়া নেওয়ার কথা বললে ওয়েবিলের কথা বলে বেশি টাকা আদায় করে।
বাংলানিউজের এ প্রতিবেদক সায়েন্সল্যাবের উদ্দেশ্যে মালঞ্চ পরিবহনের বাসে ওঠেন মৎস্য ভবন থেকে।
তবে বাসে উঠতেই মালঞ্চ পরিবহনের বাসটির(ঢাকা মেট্রো ব-১৫-৪০৬৪) চেকার ও বাস কন্ট্রাক্টর সাফ জানিয়ে দেন যতপথই যান না কেন সর্বনিন্ম ২৫ টাকা ভাড়া দিতে হবে।
যাত্রীরা পুরো বাসে গাদাগাদি করে উঠতে বাধ্য হন এবং অতিরিক্ত ভাড়া দেন। তবে বিপাকে পড়েন নারী যাত্রীরা। তাদের বাসে ওঠার সুযোগই হয়নি ভিড়ে।
বাসে উঠতে না পেরে কর্মজীবী নারী সোনিয়া সুলতানা বলেন, মাসে বেতন পাই ২০ হাজার টাকা। এই বেতনে সারা মাস চলতে এমনিতেই সমস্যা। এর বাইরে যদি পরিবহন না পেয়ে রিক্সা বা উবারে বাড়তি খরচে যেতে হয়। এভাবে জীবন চালানো আরও অসম্ভব হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০২২
এনবি/এসআইএস