ঢাকা: ঢাকার কেরানীগঞ্জের জিনজিরায় একটি বাসায় গ্যাসের চুলা থেকে আগুনে একই পরিবারের শিশুসহ ৬ জন দগ্ধের ঘটনায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। শাহাদত হোসেন (২০) নামের এ তরুণ রাজধানীর শেখ বোরহান উদ্দিন কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র ছিলেন।
শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) বেলা ৩টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় শাহাদতের। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন, ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. পার্থ শংকর পাল।
তিনি বলেন, মারা যাওয়া শাহাদতের শরীরের ৫২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। এর আগে ঘটনার দিন মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে ৬০ শতাংশ দগ্ধ শিশু মরিয়মের (৪) মৃত্যু হয়।
ডা. পার্থ শংকর পাল বলেন, বর্তমানে মোছা. বেগম ২৩ শতাংশ, ইদুনী ওরফে পান্না বেগম ৩০ শতাংশ, সোনিয়া ২৩ শতাংশ, ইয়াছিন ২৮ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ইয়াছিনকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। আর বাকিদের হাই ডিপেনডেন্সি (এইচডিইউ) ইউনিটে রাখা হয়েছে। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
দগ্ধ মরিয়মের বাবা ওসমান গনি বলেন, তাদের বাসা মান্দাইল খালেরঘাট এলাকায়। গত চারদিন আগে মেয়ে মরিয়মকে নিয়ে মায়ের বাসায় বেড়াতে আসে সোনিয়া। ঘটনার সময় তাদের আরেক ছেলে ইমরান (১২) মাদ্রাসায় ছিল।
তিনি আরও বলেন, সাহাদত ও ইয়াছিন দুই ভাই। তাদের মা ছালমা বেগম সৌদি আরব থাকেন। তারা দুই ভাই নানী মোছা. বেগমের কাছে থাকতো। শাহাদত শেখ বোরহান উদ্দিন কলেজে পড়াশুনা করতো। আর ইদুনী বেগম সোনিয়ার ফুফু হয়।
মঙ্গলবার (৩০আগস্ট) ভোর ৫টার দিকে কেরানীগঞ্জ জিনজিরা মান্দাইল মন্দিরের সামনের বাসায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটে।
তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে আসা সাহাদতের বন্ধু নাজমুল হাসান সাকিব জানান, দগ্ধরা দ্বিতীয় তলা বাসার নিচ তলায় থাকতো।
সাকিব আরও জানান, দগ্ধদের কাছ থেকে জানতে পেরেছি, ভোরে দগ্ধ বেগম রান্নাঘরে গ্যাসের চুলা জ্বালাতে গেলে সারাঘরে আগুন লেগে যায়। সেই আগুনে তারা দগ্ধ হন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০২২
এজেডএস/এসএ