কেরানীগঞ্জ (ঢাকা): স্বামীকে রেখে স্ত্রী চলে গেছেন বিদেশে। বিবাহিত মেয়েটাও থাকে শ্বশুরবাড়ি আর একমাত্র ছেলে পরিবহন শ্রমিক হওয়ায় তার বেশিরভাগ সময় কাটাতে হয় গাড়িতে।
মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে তার ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলে থাকা মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা।
নিহত কবির কেরানীগঞ্জ মডেল থানার হযরতপুর ইউনিয়নের লংকারচর গ্রামের হযরত আলীর ছেলে কবির হোসেন।
জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে প্রতিবেশীরা কবিরের ঘরের খোলা দরজা দিয়ে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। পরে স্থানীয়রা খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ (মিটফোর্ড) হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন আর রশীদ বাংলানিউজকে জানান, ধারণা করা হচ্ছে তিনি স্ত্রী-সন্তানকে কাছে না পেয়ে একাকিত্ব বোধ করছিলেন। মানষিক চাপের কারণেই হয়তো তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এ ব্যাপারে একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০২২
এফআর