ঢাকা: রাজধানীর বাড্ডা থানা এলাকার বেরাইদের একটি বাসা থেকে গৃহবধূ লাইলী জাহান সাথীর (৩১) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল পৌনে ৯টার দিকে বাড্ডা বড় বেরাইদ মোড়লপাড়ার একটি আবাসিক ভবনের ৬তলা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বাড্ডা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফাতেমা সিদ্দিকা সোমা বলেন, স্বামী আমিনুল ইসলাম ও তিন মেয়েকে নিয়ে বেরাইদের বাসায় থাকতেন ওই নারী। স্বামী পাঠাও মোটরসাইকেল চালান, এবং ওই গৃহবধূ একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন।
তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার (সেপ্টেম্বর) রাতে স্বামী আমিনুল ইসলাম বাইরে থেকে খাবার খেয়ে আসেন। বিষয়টি নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এরপর রাত ১২টা থেকে দেড়টার মধ্যে কোনো এক সময় বাসার রান্না ঘরে গ্রীলের সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। সকালে বাসার লোকজন রান্না ঘরে মৃতা সাথীকে ঝুলন্ত অবস্থা দেখে থানায় খবর দেয়। তবে ঘটনার পর থেকে স্বামী পলাতক আছেন।
সকালে খবর পেয়ে মরদেহটি উদ্ধার করি। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
লাইলীর মামা মো. মুজাহিদ কামরুল বলেন, তাদের বাড়ি সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মধ্য রাজনগর গ্রামে। বাবা হারুন অর রশিদ অনেক আগেই মারা গেছেন। লাইলীর স্বামী আমিনুলের বাড়ি খুলনার দিঘলিয়া উপজেলায়। বিয়ের আগে কোম্পানীগঞ্জে ব্যবসা করতেন। সেখান থেকে পরিচয়ের পর তাদের বিয়ে হয়। এরপর তারা ঢাকায় চলে আসে। ঢাকায় আমিনুল পাঠাও গাড়ি চালাতো। আর লাইলী একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতো। তাদের ঘরে তিনটি মেয়ে রয়েছে। বড় মেয়ের বয়স ১৫ বছর হবে।
তিনি অভিযোগ করেন, তিন মেয়ে হওয়ায় আমিনুল লাইলীর সঙ্গে খুব খারাপ ব্যবহার, এমনকি মারধরও করতো। বলতো তার ছেলে দরকার। ছেলে হয়নি বিধায় লাইলীকে নির্যাতন করতো, এমনকি আরেকটা বিয়ে করবে বলেও সিদ্ধান্ত নেয়। এসব কারণে আমার ভাগ্নি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করতে পারে বলে আমাদের ধারণা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৭, ২০২২
এজেডএস/এমএমজেড