কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়া মডেল থানায় দায়ের করা মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে এক লাখ করে তিন লাক টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের বিচারক সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় মামলার প্রধান আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন এবং অন্যরা পলাতক।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- মূল আসামি কুমারখালী উপজেলার পূর্ব লাহিনীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে মো. শাহাদত হোসেন ওরফে স্বাধীন (৪৭)। এছাড়া তাকে সরাসরি সহযোগিতাকারী কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ৬ নম্বর কুতুব উদ্দিন আহম্মেদ সড়কের বাসিন্দা নুরুল ইসলাম ওরফে মন্টু (৫৭) এবং তার স্ত্রী বেদেনা খাতুন (৫০)।
আদালতের মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি সকালের দিকে কুষ্টিয়া শহরের হরিশংকরপুর মাদরাসার সামনের রাস্তা থেকে শাহাদত হোসেন স্বাধীন নামে প্রতিবেশী এক চাচা ওই মাদরাসার অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৪) খাতা-কলম কিনে দেওয়ার কথা বলে নিয়ে যান। তাকে ফুসলিয়ে ব্যাটারিচালিত একটি অটোরিকশায় করে শহরের ৬ নম্বর কুতুব উদ্দিন আহম্মেদ সড়কের বাসিন্দা আসামি নুরুল ইসলাম ও বেদেনা খাতুনের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে একটি ঘরে নিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন নুরুল ও তার স্ত্রী। এরপর অবরুদ্ধ সেই ঘরে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন শাহাদত। পরে সেখান থেকে বাড়ি ফিরে ওই মাদরাসাছাত্রী তার পরিবারের কাছে সব খুলে বলে। পরে ভুক্তভোগী নিজেই বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় তিন জনের নামে মামলা করেন।
মামলাটি তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ঘটনায় জড়িত তিন জনকে দোষী করে আদালতের চার্জশিট দাখিল করেন কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) লিপন সরকার। সেই ঘটনার রায়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুল হালিম বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২২
এফআর