ঢাকা: মিশরীয় দুটি বিমান লিজ গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চার কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুদক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
যে চার জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তারা হলেন- সিভিল এভিয়েশন অথরিটির প্রিন্সিপাল এসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর সাইফুল হক শাহ, এয়ার ওয়ার্থনেস কনসালটেন্ট গোলাম সারওয়ার, বিএফসিসি ম্যানেজার সাদেকুল ইসলাম ভূইয়া ও কামাল উদ্দিন আহমেদ।
সোমবার আরও তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তারা হলেন- প্রধান প্রকৌশলী (মেনটেইনেন্স) এসএম সিদ্দিক, আই অ্যান্ড কিউএ'র প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার এসএম হানিফ এবং এমসিসির প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার দেবেশ চৌধুরী। তবে এদিন ফ্লাইট অপারেশন পরিচালক এবং পরিদর্শক দলের টিম লিডার ইশরাত আহমেদ হাজির হননি।
অভিযোগের সংক্ষিপ্ত বিবরণ-
২০১৪ সালে পাঁচ বছরের চুক্তিতে মিশরের ইজিপ্ট এয়ার থেকে বোয়িং ৭৭৭-২০০ ইআর মডেলের উড়োজাহাজ দুটি লিজ নেয় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। প্রথম বছর শেষেই দু’এয়ারক্রাফটেরই ইঞ্জিন বিকল হয়। ইঞ্জিনগুলো প্রায় ১২-১৫ বছরের পুরানো এবং এর উড্ডয়ন যোগ্যতার মেয়াদকাল কম থাকায় ইঞ্জিনগুলো পুরোপুরি বিকল হয়ে যায়। উড়োজাহাজ সচল রাখতে ইজিপ্ট এয়ার থেকেই ভাড়ায় আনা হয় আরেকটি ইঞ্জিন। দেড় বছরের মাথায় নষ্ট হয় বাকি ইঞ্জিনটিও। এতে পাঁচ বছরে দেশের ক্ষতি হয়েছে ১১শ’ কোটি টাকা। যা একাদশ জাতীয় সংসদের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির তদন্তে উঠে এসেছে।
স্থায়ী কমিটির পাঠানো প্রতিবেদনের আলোকে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক। প্রয়োজনে এর সঙ্গে জড়িত অন্যান্য কর্মকর্তাদেরও পর্যায়ক্রমে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২
এসএমএকে/জেডএ