কুমিল্লা: কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায় বয়স সংশোধনের আশ্বাস দিয়ে এনে এক তরুণীকে (১৮) ছয়জন মিলে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের পর মেয়েটিকে মহাসড়কের পাশে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন-উপজেলার পশ্চিম হুগলিয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে মিরাজুল ইসলাম মিরাজ (১৯), একই গ্রামের মৃত তাজুল ইসলামের ছেলে অপু (২৬) ও মৃত বারেক মিয়ার ছেলে মো. মোখলেছ (২৫)।
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) তাদের আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লা জেলহাজতে পাঠানো হয়।
দাউদকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আলমগীর ভূঞা বলেন, ১৯ সেপ্টেম্বর বিকেলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের হুগলিয়া এলাকা থেকে স্থানীয় একজন কল দিয়ে জানান, ওই এলাকায় এক তরুণীকে পড়ে থাকতে দেখেছেন। পরে পুলিশ গিয়ে স্থানীয়দের সাহায্যে ওই তরুণীকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। সেখান থেকে দুই ঘণ্টা পর তাকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। জ্ঞান ফেরার পর তিনি পুলিশকে জানান, ছয় যুবক তাকে ধর্ষণ করে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যান।
ওই তরুণী পুলিশকে জানায়, মো. শরীফ ওরফে মেরাজ নামের এক অটোরিকশাচালক মেয়েটির পূর্ব পরিচিত। মেরাজ মেয়েটির জন্ম নিবন্ধনের বয়স সংশোধন করতে সহযোগিতা করতে চেয়েছিলেন। এজন্য তিনি মেরাজের সঙ্গে গেলে মেরাজ একটি নির্জন স্থানে তাকে নিয়ে যান। এ সময় সেখানে মেরাজসহ একে একে ছয়জন তাকে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের পর তাকে রাস্তার ধারে ঝোপের পাশে ফেলে রেখে চলে যান তারা। এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে ছয়জনের নামে দাউদকান্দি মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২
এসআই